Mythology

অসম্মান এড়ানোর ও দুঃখ নাশ করার পথ দিলেন সাধুবাবা

দুষ্টু লোকে কথা মিষ্টি। অন্যের উপকারে আসেনা। রুক্ষভাষীরা নিজের ক্ষতি করে কথার দোষে তবে এরা অন্যের উপকারে আসে। ত্যাগ না করলে সুখ আসেনা।

মন্দিরে মাথা ঠেকানোর কথাতে মনে পড়ে গেল ব্রজবিদেহী মহন্ত সন্তদাস বাবাজি মহারাজের কথা। কামাখ্যা প্রসঙ্গে এই ঘটনাটির কথা আমার শোনা। কি ভাবে শুনলাম? শ্রীশ্রীরামদাস কাঠিয়াবাবাজি মহারাজের শিষ্য শ্রীশ্রীসন্তদাস বাবাজি মহারাজ। সন্তদাসজির অসংখ্য শিষ্যদের মধ্যে ছিলেন বিশেষভাবে শ্রীশ্রীধনঞ্জয় দাসজি ও শ্রীশ্রীমনোহরদাসজি। মনোহরদাসজির শিষ্য ছিলেন আমার শাস্ত্রীয় শিক্ষাগুরু স্বর্গীয় জ্ঞানদাপ্রসাদ চৌধুরী। মনোহরদাসজিকে বৃন্দাবনের আশ্রমে ঘটনাটির কথা বলেছিলেন সন্তদাসজি। মনোহরদাসজি বলেছিলেন জ্ঞানদাপ্রসাদকে। আমি শুনেছিলাম তাঁরই মুখে। সন্তদাস বাবাজি মহারাজ বলেছেন, আমার ভাষায় তাঁর কথা,

‘তখন আমি শারীরিক দিক থেকে বেশ অসুস্থ। খুব বেশি চলাফেরা করার মতো দেহমনের অবস্থা নেই। হঠাৎ একদিন বাবাজি মহারাজ (রামদাস কাঠিয়াবাবা) আমাকে বললেন, ‘বাবা, তুমি একবার কামাখ্যামাঈর দর্শন করে এস। তাতে তোমার মঙ্গল হবে।’


আমি বললাম, ‘বাবা, শরীর আমার ভাল না। কামাখ্যা পাহাড়ে পায়ে হেঁটে ওঠার মতো শক্তি এই মুহুর্তে আমার নেই। আমার পক্ষে কি করে সম্ভব হবে কামাখ্যা মায়ের দর্শন করা!’

বাবাজি মহারাজ বললেন, ‘তাঁর কি ইচ্ছা তুমি জানো না। তুমি কামাখ্যামাঈর উদ্দেশে যাত্রা কর। যদি শরীরের কারণে ওখানে গিয়ে কামাখ্যা পাহাড়ে একান্তই উঠতে না পার, তা হলে উঠো না। তাতে তোমার কোনও অকল্যাণই হবে না। তবে পাহাড়ের যে কোনও জায়গা স্পর্শ করে প্রণাম কোরো। তাতে তোমার কামাখ্যামাঈকে দর্শন ও প্রণাম করা হবে। একটা কথা মনে রেখো বাবা, মা শুধু মন্দিরেই নয়, সমগ্র কামাখ্যা পাহাড়ে সর্বত্রই সদা জাগ্রত দেবী কামাখ্যা সর্বদাই বিরাজ করছেন।’


এরপর সন্তদাস বাবাজি মহারাজ তাঁর গুরুজির আশীর্বাদ নিয়ে বেরিয়ে পড়েন কামাখ্যাতীর্থ দর্শনের উদ্দেশে। পথে কোনও কষ্টভোগ করতে হয়নি। শারীরিক সুস্থতা আসে। পায়ে হেঁটেই ওঠেন পাহাড়ে। পরমানন্দে দর্শন করেন দেবীতীর্থ সতীপীঠ কামাখ্যা।

এ থেকে আমার বিশ্বাস, ভারতের যেকোনও পীঠস্থানে দেবীর শিলায়িত বিগ্রহ বা প্রতিকৃতি মূর্তি দর্শন বা স্পর্শ করতে না পারলে মন্দিরক্ষেত্রের যে কোনও স্থানে প্রণাম করলে তা দেবী গ্রহণ করেন।

Kamakhya

অম্বুবাচীর মেলা আসছে তাই সাধুদের আসাটা যে বেড়েছে তা আমার নজরে এসেছে। তবে তেমন ভাবে কারও সঙ্গে বসছি না। আমি আমার মতো ঘুরে বেড়াই। আজ ৪ জুন সোমবার। ভুবনেশ্বরী মায়ের মন্দির থেকে ফিরে চলেছি কামাখ্যা মন্দিরের পথে। বেশ কয়েক ধাপ উঠলেই ডানপাশে কালী মন্দির। গর্ভমন্দিরে বিগ্রহ নেই। দেবী শিলাময়ী। এই মন্দিরলাগোয়া একটি টিনের ছাউনি আছে যেখানে ভিখারি বসে, গেরুয়াধারী অনেকে বসে ভিক্ষে করে। যাত্রীদেরও অনেকে বসে বিশ্রাম করতে।

এখানে দেখি এক সাধুবাবা বসে আছেন একমাথা জটা নিয়ে। জটা তো নয়, মাথায় যেন একটা ধামা বসানো। গায়ের রং ময়লা। চোখের চশমাটায় যেন বিয়ারের বোতলের তলা লাগানো। লাল বসন পড়া। বেশ রোগা। হাড়ের উপর সামান্য মাংস, তার উপরে চামড়া। গলায় ছোট রুদ্রাক্ষের মালার সঙ্গে আছে অন্যান্য নানান ধরণের মালা। ঝোলাঝুলি কিছু নেই, আছে একটা স্টিলের পাত্র। বয়স হয়েছে তাই সঙ্গী লাঠিটা আছে। গালে দাড়িগুলো সাদাকালোয় তবে ফাঁকা ফাঁকা, ঘন নয়। (পরে জেনেছিলাম সাধুবাবার মাথার জটা লম্বায় ১৮ ফুট)।

কামাখ্যা মন্দিরে পরে যাব। এখন সাধুবাবার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে বসে গেলাম পাশে। প্রথমেই জিজ্ঞাসা করলাম,

– বাবার ডেরা কি এখানে, না অন্য কোথাও?

উত্তরে হিন্দিতে জানালেন,

– আমার কোথাও ডেরা নেই। এখন মায়ের এখানে আছি, এটাই আমার ডেরা। সামনে অম্বুবাচীর মেলা হবে তাই এসেছি। মেলা হয়ে গেলে চলে যাব বেনারস।

সাধুবাবা বসে আছেন বাবু হয়ে। আমি বসে আছি পা ঝুলিয়ে। জিজ্ঞাসা করলাম,

– বেনারসে ডেরা কোথায়? বাবার এখন বয়স কত হল? কত বছর বয়সে গৃহত্যাগ করেছেন? কোন সম্প্রদায়ের সাধু আপনি?

একসঙ্গে এতগুলো প্রশ্ন করায় একটু বিরক্ত হলেন বলে মনে হল। তবু প্রকাশ না করেই বললেন,

– বেটা, বেনারসে আমার ডেরা কোথাও নেই। দশাশ্বমেধ ঘাটেই আমার দিন কাটে। যখন ভালো লাগে না, তখন অন্য কোথাও চলে যাই। এখন আমার বয়েস চলছে ছিয়াশি। গৃহত্যাগ করেছি পঁচিশে।… সম্প্রদায়ের সাধু আমি।

বৃদ্ধের গালে দাঁত কম থাকায় সম্প্রদায়ের নাম আর উচ্চারণটা বুঝতে পারলাম না। ঘুরিয়ে আর জিজ্ঞাসাও করলাম না। জানতে চাইলাম,

– বাবা ঘর ছাড়লেন কেন?

কোনওরকম ভণিতা না করে সোজাসুজি বললেন,

– বেটা, বাড়িতে আমাকে বিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করছিল বাবা মা। ঠিক এরকম সময় রাতে একদিন মাকালী স্বপ্ন দিয়ে বলল, ‘তোর গৃহী জীবন নয়। ঘুরে বেড়ানোই তোর জীবন, সাধুজীবন।’ এই স্বপ্নের কথা বাড়িতে জানালাম। এরপর অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই বাবা মায়ের দেহান্ত হল। আমি বেড়িয়ে পড়লাম ঘর ছেড়ে, তখন আমার বয়স পঁচিশ।

এরপর সাধুবাবা চোখদুটো বুজে বলে চললেন আপন মনে,

– বেটা, গৃহত্যাগের পর দীক্ষা হল। আমার জন্ম বিহারে। গৃহত্যাগের পর আর বাড়ি ফিরে যাইনি। মানস-কৈলাস থেকে শুরু করে এমন কোনও তীর্থ নেই যেখানে আমি যাইনি। বড় আনন্দে আছি বেটা, বড় আনন্দে।

এবার চোখ খুললেন। একের পর এক যাত্রী চলছেন কামাখ্যা মন্দিরের দিকে। কারও হাতে পলিথিনের প্যাকেটে জবা আর নকুলদানা ইত্যাদি, কেউ চলেছেন ছোট্ট পাঁঠাকে কোলে নিয়ে। যাত্রী আসার বিরাম নেই। জানতে চাইলাম,

– বাবা, ভিক্ষে করেন?

সজোরে ঘাড় নাড়িয়ে বললেন,

– না না, আমি ভিক্ষে করি না। প্রতিদিন কিছু না কিছু জুটে যায়। আমি কোনও ভাণ্ডারায় খাই না। যারা ভাণ্ডারা দেয় তারা তাদের পাপ-কর্মফল কাটানোর জন্যই ভাণ্ডারা দেয়। ওই খাবার খেলে নিজেকে তার দুর্ভোগ নিতে হয়। তাই ভাণ্ডারার খাবার আমি খাই না।

অনেক কথার পর জিজ্ঞাসা করলাম,

– বাবা, আপনার জীবনে কোনও স্মরণীয় সুখ অথবা কোনও দুঃখের দিন আছে, যার কথা আজ আপনি ভুলতে পারেননি?

সঙ্গে সঙ্গেই বেশ দৃঢ় কণ্ঠে বৃদ্ধ বললেন,

– না না বেটা, আমার জীবনে কোনও দুঃখের দিন অতীতে আসেনি। গৃহত্যাগের পর থেকে জীবনের এতগুলো বছরের প্রতিটা দিনই আমার সুখের দিন, আনন্দের দিন।

– বাবা, আপনার মায়ের কথা কি কখনও মনে পড়ে? আমি মাকালীর কথা বলছি না, আপনার গর্ভধারিণী মায়ের কথা বলছি।

আবেগভরা কণ্ঠে বৃদ্ধ ছিয়াশি জানালেন,

– তোর কথা বুঝেছি বেটা। আমার মা সঙ্গে সঙ্গে আছে বলেই তো জীবনের এত লম্বা পথ কত সহজে, কত আনন্দে চলতে পারলাম। প্রতি মুহুর্তে অনুভব করি মা আমাকে ছেড়ে নেই। ছোটবেলায় যেমন আগলে রেখেছিল, এখনও সেই একইভাবে শিশুর মতো আগলে রেখেছে এই বুঢঢাকে। বুড়ো হলেও জানবি গর্ভধারিণী মায়ের কাছে সন্তান চিরকালই বাচ্চা।

একটু থেমে বললেন,

– বেটা, কামাখ্যা মায়ের দর্শন করেছিস?

মাথা নাড়িয়ে বললাম, ‘না’। কারণটাও বললাম, অসম্ভব ভিড়। কথাটা শুনে সাধুবাবা বললেন,

– বেটা, মায়ের শিলায়িত পীঠস্থানে যেখানে সদা সর্বদা পাতাল থেকে জলধারা উঠেছে, সেটাই মায়ের যোনিমণ্ডল। মাতৃঅঙ্গ বলে অর্ধেকটা সোনার টোপরের উপর বস্ত্র ও ফুলের মালা দিয়ে সুশোভিত করে রাখা হয়। যাত্রীদের দর্শন ও স্পর্শ করার জন্য একটা অংশ থাকে উন্মুক্ত। দেবীর যোনিমণ্ডল দর্শন করে হাত দিয়ে তা স্পর্শ করবি। পরে ওই যোনিমুদ্রার জল পান করবি।

বেটা, শাস্ত্রে বলা আছে, এগুলি ভক্তি সহকারে করলে দেবঋণ, পিতৃঋণ ও মাতৃঋণ থেকে মুক্ত হওয়া যায়। বেটা, কোটি গো দান করলে মানুষ যে ফল লাভ করে, মা কামাখ্যাকে স্পর্শ, দর্শন, যোনিমুদ্রার জল পান ও পুজো করলে মানুষ সেই ফলই লাভ করে। যত ভিড়ই হোক না, মায়ের কাছে এসেছিস, এই কাজটুকু করবি।

সাধুবাবা এখানেই থামলেন না। বললেন,

– যদি পারিস তো কুমারী পুজোটাও করিস। মা মহামায়া এখানে বিরাজ করছেন কুমারীরূপে। কুমারীমুখেই তিনি ভোজন করেন। দেবীজ্ঞানে এই তীর্থে কুমারী পুজো করলে সমস্ত দেবীপুজোর ফল পাওয়া যায় কামাখ্যায়। একই সঙ্গে লাভ হয় পুত্র, বিদ্যা, ধন, ভূমি এবং সমস্ত কামনা পূরণ হয় অনায়াসে।

এবার জিজ্ঞাসা করলাম,

– আমরা সংসারী মানুষ। এখানে তো অশান্তি ছাড়া জন্মের পর থেকে আর কিছুই চোখে পড়ল না। সংসারে থেকেও সুন্দরভাবে কিভাবে চলা যায় একটু বলবেন।

সাধুবাবা হেসে ফেললেন। বৃদ্ধের হাসিটা মনে হল যেন কোনও শিশু হাসছে। বললেন,

– যে লোকটা সংসার করল না তাকে বলছ সংসারে সুন্দরভাবে কি করে চলবে!

একটু থামলেন। চোখ মুখ দেখে মনে হল কিছু একটা ভাবছেন। ভাবনাটা যে বেশ গভীর তা মুখ দেখেই বোঝা গেল। আবার চোখ বুজে বৃদ্ধ শুরু করলেন,

– বেটা, কারও কাছে কোনও দিন কিছু প্রার্থনা করবি না বা চাইবি না। সবসময় জানবি চাওয়াটা অসম্মানের কারণ। নিশ্চিত বিষয়টা ত্যাগ করে কখনও অনিশ্চিতের আশ্রয় গ্রহণ বা তার পিছনে ছুটবি না। এতে নিশ্চিত বিষয়টা তো নষ্ট হবে, আর অনিশ্চিত তো নষ্ট হয়ই। সাধুদের সঞ্চয় করা দোষের কিন্তু সংসারীদের প্রতিদিন কিছু কিছু সঞ্চয় করা কর্তব্য।

আবার সাধুবাবা থামলেন। ভাবলেন। এবার চোখ খুলে বললেন,

– বেটা, সংসারে দুষ্টু লোকের কথা সব সময়েই মিষ্টি হয়। এরা মিষ্টি কথা বলে, নিজেদের পেট ভরে। এরা অন্যের উপকারে আসে না। মিষ্টি কথা বলা মানুষের কথা রক্তজাত নয়। পরিবেশ ও পরিস্থিতি অনুসারে প্রকৃত স্বভাব গোপন করে কার্যসিদ্ধির জন্য মিষ্টি বাক্য প্রয়োগ করে থাকে। এদের এড়িয়ে চলবি। রুক্ষভাষীরা নিজের ক্ষতি করে কথার দোষে তবে এরা অন্যের উপকারে আসে। বেটা সংসারে স্নেহই সমস্ত দুঃখের কারণ। ওটা ত্যাগ না করলে সুখ আসে না। কষ্ট হলেও ত্যাগ করবি।

Kamakhya

সাধুবাবা আরও অনেক অ-নে-ক কথা বললেন যা প্রতিদিন, প্রতি মুহুর্তে সুখ ছাড়া অ-সুখ হওয়ার নয়। তার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কথা বললেন,

– বেটা, দূরপাল্লায় তীর্থভ্রমণ বা যাত্রায় এমন ট্রেনের টিকিট কাটবি সেই ট্রেন যেন দিন থাকতে তোর গন্তব্যে পৌছয়। গভীর রাতে কোনও স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠতে বা নামতে হবে, এমন ট্রেনের টিকিট কখনও কাটবি না। (ঠিক এই কথাটি আমি পড়েছিলাম স্বামী সন্তদাস বাবাজি মহারাজের কোনও একটি গ্রন্থে।)

আরও প্রায় ঘণ্টা খানেক কথা হল নানা বিষয় নিয়ে। হুট করে বলে বসলাম,

– বাবা, আপনার আরাধ্য দেবতার দর্শন লাভ কি হয়েছে?

বেশ জোরের সঙ্গে বুকে হাত দিয়ে উদাত্ত কণ্ঠে বললেন,

– হাঁ বেটা হাঁ, ‘জরুর দর্শন’ হয়েছে, তবে ও কথা তোকে আমি ভাষায় বলে বোঝাতে পারব না। বেটা, হওয়াটা অনুভবের, ও কি কেউ বলে বোঝাতে পারে। আমার অন্তরে ‘কোই খেদ নেহি হ্যায়, কোই দুখভি নেহি! ম্যায় সদা আনান্দ মে হু।’

কেদারনাথ ভ্রমণকালীন কেদারতীর্থে ৯০ বছর বয়েসের এক বৃদ্ধ কেরালিয়ান সাধুবাবার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়। কথাপ্রসঙ্গে একসময় ওই একই কথা জানতে চেয়েছিলাম,

– এতোগুলো বছর তো কেটে গেল আপনার সাধনভজন ও তীর্থদর্শনে। যার জন্য এসব করা, তাঁর দর্শন কি পেলেন?

কথাটা শোনামাত্র সাধুবাবার স্বস্তির ভাবটা মুছে গেল। মুখখানা কেমন যেন মলিন হয়ে উঠল। এরকম একটা প্রশ্ন করব হয়তো ভাবতেই পারেননি, কারও কাছে শোনেননি হয়ত, মাথাটা একটু নিচু করে বসে রইলেন মিনিটপাঁচেক। পরে নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন,

– নেহি বেটা, মুঝে ইতনা সৌভাগপ্রাপ্ত নেহি হুয়া। অগর উনকা দর্শন করলেতা তো ক্যা ম্যায় উনহে কভি ছোড়তা? ম্যায় তো ব্যস বেটা, ইস হিমালয় মে মূর্তিয়ো কা দর্শন করনে আয়া হু। ব্যস, ইতনা হি কহ সক্তা হু কি, ইয়ে হিমালয় মনুষ্য কো আপনি ঔর খিঁচতা হ্যায়। একবার আও তো বার বার আনেকা কা মন হোতা। মুঝে তো বেটা ইসি মে ভগবান হ্যায়, বিশওয়াস হ্যায়। ইস জীবন মে মেরে কো বহুত বহুত আনন্দ মিলা। বেটা, আনন্দ হি ভগবান হ্যায়।

(সাধুবাবার ছবি – শিবশংকর ভারতী)

Show Full Article

9 Comments

  1. আপনার লেখা আমার খুব ভালো লাগে ! আমি আপনার সঙ্গে একবার দেখা করতে চাই ! আপানার পক্ষে সম্ভব হলে আপনার চলভাষ নম্বর বা mobile number টা যদি একবার দেন তাহলে খুব ভালোহয় !

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button