জ্যোতিষীর কাছে গেলেই সব সমস্যার সমাধান কী সম্ভব – শিবশংকর ভারতী
জ্যোতিষীর কাছে গেলেই সব সমস্যার সমাধান কী সম্ভব?
ধরা যাক বিদ্যা বিষয়ক কথা। জ্যোতিষশাস্ত্রে আধুনিক বিদ্যা বা শিক্ষালাভের কোনও উল্লেখ নেই। পারমার্থিক বিদ্যালাভের কথা আছে। কারণ, আধুনিক শিক্ষাবিষয়টা অভ্যাসযোগ। যে যত বেশি অভ্যাস করবে, সে তত বেশি লাভ করবে।
কারও দেখা গেল বিদ্যায় বাধার যোগ রয়েছে অর্থাৎ অভ্যাসযোগে মনোনিবেশ করতে অসুবিধে আছে মানসিক অস্থিরতার কারণে। এক্ষেত্রে চন্দ্রের সঠিক প্রতিকার করলে অস্থির ভাবের খানিকটা উপশম হয়, একেবারে কাটে না।
যার পড়াশোনা হওয়ার যোগ নেই, তার গলায় গামছা দিয়ে মা সরস্বতীকে বেঁধে রাখলেও হবে না। কারও দেখা গেল বিবাহিত জীবন হবে শান্তিহীন। প্রতিকার নেই। কারও হয়ত গ্রহের অশুভ অবস্থান কারণে সাময়িক সাংসারিক অশান্তি চলছে, তার সঠিক প্রতিকার করলে অনেকটা দুর্ভোগই কাটে।
ঠিক এইভাবেই অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা হবে, সমাধান হবে না। আবার সমস্যা হবে, প্রতিকারে আংশিক সমাধান হবে। সম্পূর্ণ বিষয়টা নির্ভর করে জন্মকালীন গ্রহের শুভাশুভ অবস্থানের ওপর।
মোটের ওপর জ্যোতিষীর কাছে গেলেই সব সমস্যার সমাধান হবে, এমন কোনও কথা নেই। আবার পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সমস্যার হাত থেকে ‘রিলিফ’ হবে না, এ কথায়ও আমার বিশ্বাস নেই।
গোটা বিশ্বশংসার যার অঙ্গুলি হেলনে চলছে, প্রত্যেকের ভবিতব্য যেখানে পূর্বনির্ধারিত সেখানে জ্যোতিষীর প্রেসক্রাইব করা সামান্য কিছু পাথর মানুষের ভাগ্য বদলে দিতে পারে ? তাহলে তো জ্যোতিষীর কাছে ইশ্বরের পরাজয় অবধারিত। শিবশঙ্কর বাবুর কাছে অনুরোধ এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে আমাদের মনের সন্দেহের অবসান করুন।