শনি ঠাকুরকে প্রণাম করার সঠিক পদ্ধতি, পুরাণ অনুসারে
শনিদেবকে প্রণাম করার বা শনিদেবের প্রসাদ খাওয়ার ও শনিদেবের দিকে তাকানোর পদ্ধতি ঠিক কী?
জন্মের পর থেকে শনিদেব সম্পর্কে এসব কথা শুনে আসছি এবং তথাকথিত এক শ্রেণীর জ্যোতিষী পরামর্শ দিয়ে থাকেন জ্যোতিষ বিচারপ্রার্থীকে – ‘কোনও শনি মন্দিরে গিয়ে শনিদেবের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে প্রণাম করবেন না। সামনাসামনি দাঁড়াবেন না। একপাশে দাঁড়িয়ে প্রণাম ও দর্শন করবেন।’ ‘শনিদেবের প্রসাদ বাড়িতে আনবেন না। প্রসাদ খেয়ে মাথায় হাত মুছবেন না। জল দিয়ে হাত ধুয়ে পরে হাত দিতে পারেন মাথায়।’
‘শনিদেবের নাম ভুল করে মুখে উচ্চারণ করবেন না। বলবেন, বড়বাবা, বড়ঠাকুর, গ্রহরাজ ইত্যাদি। প্রণাম করলে পায়ের দিকে তাকিয়ে প্রণাম করবেন। কোনও প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে মুখের দিকে তাকাবেন না।’ ‘এই বিষয়গুলির কোনও একটি যদি ভুল করেও ঘটে তাহলে শনিদেবের অশুভপ্রভাব ও দৃষ্টি আপনার উপর বর্তাবে। নানান দুর্ভোগ ও অশান্তিতে আপনি নিদারুণ কষ্ট পাবেন।’
এক শ্রেণির জ্যোতিষী ও তান্ত্রিকদের শনিদেব সম্পর্কে এইসব ভীতি সৃষ্টিকারী বুজরুকি পরামর্শ সম্পর্কে বলি, পুরাণে এইসব কথার কোনও উল্লেখ নেই।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলি, বহু বছর ধরে শনি দেবের প্রসাদ বাড়িতে এনে বিছানার উপর বসে খেয়ে থাকি। তাঁর প্রসাদী আশির্বাদের হাত না ধুয়ে মাথায় বুলিয়ে নিই।
চলার পথে কোনও শনি মন্দির নজরে পড়লে বিগ্রহের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে প্রণাম করেছি, করে থাকি।
এসব করেও অবশেষে কল্যাণ ছাড়া এতটুকুও অমঙ্গল আমার কিছু হয়নি। মনে রাখতে হবে, মানুষ জন্মজন্মান্তরের কমার্জিত কর্মফল ভোগ করে।
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে প্রণাম কিংবা তাঁর প্রসাদ ঘরে বসে খেলে শনির কোপদৃষ্টি পড়ে, এসব কথা শোনা যায় সঠিক তথ্য না জানা পুরোহিত ও জ্যোতিষীদের মুখ থেকে।
আমি এই পত্রিকা র লেখা গুলো পরতে চাই নিয়মিত ;শিবশঙ্কর ভারতীরসাথে যোগাযোগ করতে চাই রাস্তা বলবেন ;কি ভাবে?