নৈহাটি পুরসভা পুনর্দখল করল তৃণমূল। এদিন ছিল পুরসভার আস্থা ভোট। আর সেখানে ২৪-০ ফলে পুরসভা পুনর্দখল করে তৃণমূল। বিজেপি কাউন্সিলররা এদিন ভোটাভুটিতে অংশ নেননি। দলীয় সিদ্ধান্ত মেনেই যে তাঁরা ভোটাভুটিতে অংশ নেননি সেকথাও জানিয়েছেন তাঁরা। এদিনের এই ফল যে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংকে তৃণমূলের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া তা অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের কাছেই পরিস্কার। কারণ লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল কাউন্সিলরদের দলে যোগদান করিয়ে এই পুরসভায় রাতারাতি সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যায় বিজেপি।
লোকসভা নির্বাচনের আগে ৩৩ আসনের নৈহাটি পুরসভার ৩১টি আসন ছিল তৃণমূলের দখলে। ফলে বোর্ডও ছিল তাদেরই। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে এলাকার দাপুটে নেতা হিসাবে পরিচিত অর্জুন সিং ব্যারাকপুরের সাংসদ হন। তৃণমূল তাঁকে টিকিট দিতে রাজি না হওয়ায় শেষ মুহুর্তে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। তারপর ভোটে লড়ে বিজেপিকে এই আসনটি পাইয়েও দেন। তারপরই রাতারাতি নৈহাটি পুরসভার ১৮ তৃণমূল কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দেন। ফলে পাশা পাল্টে রাতারাতি নৈহাটি পুরসভা গেরুয়া শিবিরের আধিপত্যে এসে পড়ে।
যদিও নাটকের তখনও বাকি ছিল। এর কিছুদিন পর আচমকাই দেখা যায় যে ১৮ জন কাউন্সিলর গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ১০ জন ফিরে আসেন তৃণমূলে। তৃণমূলও ঘটা করে জানিয়ে দেয় ঘর ওয়াপসি হয়েছে। তৃণমূল এটাও দাবি করে যে আরও ৩ জন কাউন্সিলরও বিজেপি ছেড়ে ঘরে ফিরছেন। তারপর বুধবার ছিল নৈহাটি পুরসভায় আস্থা ভোট। সেখানে দেখা যায় বিজেপির কাউন্সিলররা গরহাজির। ফলে ভোটাভুটিতে ২৪-০ ফলাফলে নৈহাটি পুরসভা পুনর্দখল করে তৃণমূল।













