State

বিজেপির বন্‌ধ ঘিরে অশান্তি, বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ, আহত পুলিশ আধিকারিক

গত রবিবার বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের মাথা ফাটার ঘটনাকে সামনে রেখে সোমবার ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে ১২ ঘণ্টার বন্‌ধের ডাক দেয় বিজেপি। সোমবার সকাল থেকে সেই বন্‌ধকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির ঘটনা ঘটল। তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে অনেক জায়গায় সংঘর্ষ বাঁধে। যাতে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।

রেলকে বন্‌ধের বাইরে রাখা হলেও জগদ্দলের কাছে রেল অবরোধ হয়। তবে তা দ্রুত উঠেও যায়। বিভিন্ন জায়গায় জোর করে বিজেপি কর্মীরা দোকানপাট বন্ধ করিয়েছেন বলে অভিযোগ। অনেক জায়গায় স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা হাত জোর করে অনুরোধের মোড়কে কার্যত হুমকি দিয়ে দোকান বন্ধ করান। রাস্তাঘাটে বন্‌ধকে কেন্দ্র করে যান চলাচলও ছিল কম। অনেক জায়গায় যানবাহনও বিজেপি কর্মীরা আটকে দেন।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

বেশ কয়েক জায়গায় তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষ বাঁধে। ব্যারাকপুরের নোনাচন্দনপুর এলাকায় বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে ২ পক্ষে ব্যাপক গণ্ডগোল হয়। ২ পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। বিজেপির ৭ জনের আঘাত গুরুতর। এদিকে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও ব়্যাফ নামে। কিন্তু দফায় দফায় সংঘর্ষে এলাকা অগ্নিগর্ভ ছিল বেলা পর্যন্ত। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতেও অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। অনেক জায়গায় যান বাহন আটকে দেন তাঁরা।

বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত হন টিটাগড়ের আইসি। ব্যারাকপুর ব্রিজের সামনেও এদিন তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিকে ব্যারাকপুর থেকে এদিন ফেরি পরিষেবা প্রায় বন্ধ ছিল। ব্যারাকপুরে অনেক দোকান বন্ধ ছিল। গাড়ি, অটো বড় একটা রাস্তায় বার হয়নি। অশান্তি হয় শ্যামনগরেও। দিনভরই একের পর এক জায়গায় অশান্তির আগুন জ্বলে ওঠে। পুলিশ এদিন ছিল যথেষ্ট তৎপর।

তবে এই বন্‌ধ, অশান্তির জের যাঁদের সবচেয়ে বেশি ভুগতে হয়েছে তাঁরা হলেন সাধারণ মানুষ। অশান্তির জন্য অনেকে কর্মস্থলে যেতে পারেননি। অনেক পড়ুয়াকেই স্কুলে পাঠাননি অভিভাবকরা। দোকানপাট না খোলায় ব্যবসা মার খেয়েছে। উপরি মিলেছে আতঙ্ক। কখন কোথায় অশান্তি লেগে যায় তা বোঝা যাচ্ছে না। ফলে ব্যারাকপুর লোকসভা এলাকা জুড়েই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে আমজনতার মধ্যে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *