ভারতের একবিন্দু চোখের জলে রাবণের বাড়ি, দেখতে ভিড় জমান পর্যটকেরা
এ বাড়ি দেখতে ভিড় জমান পর্যটকেরা। সারাবছর ভিড় লেগেই থাকে। যা মুগ্ধ করে তাঁদের। অবাকও করে। এমনই সে প্রাসাদের অবস্থান।

ভারতের প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ওতপ্রোতভাবে জুড়ে আছে রামায়ণ ও মহাভারতের কাহিনি। রামায়ণের রাম ও রাবণের লড়াই মানুষকে আজও টানে। রাবণকে নিয়েও উৎসাহ কোনও অংশে কম নয় মানুষের।
সেই রাবণের প্রাসাদ রয়েছে সমতল থেকে অনেক উঁচুতে। জায়গার নাম সিগিরিয়া। এখানেই রয়েছে একটি সুউচ্চ পাহাড়। যার মাথাটা অনেকটা জায়গা জুড়ে মালভূমির মত।
এখন এখানে প্রচুর গাঁথনি দেখা গেলেও প্রাসাদ বলতে যা বোঝায় তা নেই। আছে কেবল ধ্বংসাবশেষ। সেটাই রাবণের প্রাসাদ বলে খ্যাত। যা দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন।
সিঁড়ি বেয়ে অনেকটা উঠতে হয় ঠিকই, তবে পৌঁছনোর পর ওই স্থান অবাক করে। আজও সেখানে জলের জন্য এক জলাধারের ব্যবস্থা দেখতে পাওয়া যায়। যা একসময় প্রাসাদের জলের প্রয়োজন মেটাত। এ জায়গাকে বলা হয় জলের বাগান।
এখানে দাঁড়ালে চারধারে যতদূর চোখ যায় শুধু জঙ্গল আর জঙ্গল। সবচেয়ে অবাক করে ৩ লক্ষ ইট দিয়ে একসময় তৈরি ওই প্রাসাদ তৈরির জন্য ইটগুলি ওই ২০০ মিটার উচ্চতায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কীভাবে?
এই সিগিরিয়া রয়েছে শ্রীলঙ্কায়। যে শ্রীলঙ্কাকে ভারতের একবিন্দু চোখের জল বা টিয়ার ড্রপ অফ ইন্ডিয়া বলে ডাকা হয়। শ্রীলঙ্কাই রামায়ণে বর্ণিত লঙ্কা বলে পরিচিত। যেখানে বানরসেনা নিয়ে পৌঁছে রাম রাবণকে পরাস্ত করে স্ত্রী সীতাতে বারণের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে আনেন।