চিড়িয়াখানার জীবজন্তুদের খাওয়ানোর পয়সা নেই, সরকারের কাছে দরবার
চিড়িয়াখানায় পশুপাখিদের খাওয়ার বন্দোবস্ত চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষই করে। দৈনিক সেই অর্থের যোগান দেওয়া মুখের কথা নয়। সেখানেই এখন টান পড়েছে।
চিড়িয়াখানা দেখে মনে হতে পারে যে এ স্থান তৈরি হয়েছে নিছক বেড়ানোর জন্য। কিন্তু চিড়িয়াখানা আদপে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জুলজি সম্পর্কিত গবেষণা ও পর্যবেক্ষণের জন্যই চিড়িয়াখানা তৈরি হয়।
একই জায়গায় বিভিন্ন রকম পশুপাখিদের রেখে তাদের পর্যবেক্ষণ ও তাদের নিয়ে অধ্যয়ন ও গবেষণা হয়। চিড়িয়াখানায় যেসব পশুপাখিদের রাখা হয় তাদের খাবারের যোগানের বন্দোবস্তও চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ করে থাকে। আর সেখানেই তৈরি হয়েছে সমস্যা।
শ্রীলঙ্কা জুড়ে এখন যে আর্থিক দুরবস্থা চলছে তাতে জুলজি বিভাগের হাত প্রায় শূন্য। কোষাগারে গচ্ছিত টাকা তলানিতে এসে ঠেকেছে। ফলে আগামী দিনে বিভিন্ন চিড়িয়াখানার প্রাণিদের কীভাবে খাবার যোগান দেওয়া সম্ভব হবে তা বুঝে উঠতে পারেছন না সংশ্লিষ্ট মানুষজন।
ইতিমধ্যেই চিড়িয়াখানার পশুদের খাবার যোগান দেওয়ার টাকা নেই বলে জানিয়ে দেশের সরকারকে চিঠি দিয়েছে জুলজি বিভাগ। শ্রীলঙ্কার ওয়াইল্ড লাইফ মন্ত্রক আশ্বাস দিয়েছে যে তারা ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছে।
শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও আর্থিক দুরবস্থা শুরুর পর সে দেশে হুহু করে কমেছে পর্যটকদের আনাগোনা। শ্রীলঙ্কার একটা বড় ভরসা সেখানকার পর্যটন। বহু বিদেশি বেড়াতে এসে চিড়িয়াখানাগুলিতেও বেড়াতে যান। ফলে সেখান থেকে মোটা অর্থ চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের কোষাগারে জমা পড়ে। যা এখন নেই বললেই চলে।
সরকার যে টাকা সারা বছরের জন্য দেয় সে টাকা দিয়ে চালিয়ে এখন তাও নিঃশেষের পথে। তাই এবার পশুদের খাওয়ানো নিয়ে মাথায় হাত পড়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা