Festive Mood

মকরসংক্রান্তিতে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রচলন বহুদিনের, কেন জানেন

মকরসংক্রান্তিতে ঘুড়ি ওড়ানোর রেওয়াজ দীর্ঘদিনের। আকাশে এই রঙিন খেলার পিছনে কিন্তু একাধিক কারণ রয়েছে। যা শুনলে অনেকেই অবাক হবেন।

মকরসংক্রান্তির তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। গোটা দেশ এই বিশেষ দিনটি পালন করতে মুখিয়ে আছে। মকরসংক্রান্তিতে দেশের নানা প্রান্তে নানা রীতি নিয়ম প্রচলিত। যা প্রাচীনকাল থেকে পালন করে আসছেন মানুষজন। বিভিন্ন পরিবারেও এমন নানা রীতি রয়েছে।

মকরসংক্রান্তি মানে যেমন পিঠেপুলি, যেমন গুড়, তিল, যেমন নানা মিষ্টি, যেমন পুণ্যস্নান, তেমনই মকরসংক্রান্তি মানে আকাশে ঘুড়ির মেলা। কিন্তু ঠিক মকরসংক্রান্তির দিনই ঘুড়ি ওড়ানোর প্রচলন কেন? এর পিছনে রয়েছে প্রধানত ২টি কারণ।

একটি কারণ হল, মনে করা হয় ওইদিন দেবতারা স্বর্গে ঘুম ভেঙে ওঠেন। দীর্ঘ সময় ঘুমের পর তাঁরা জাগ্রত হওয়ার পর ঘুড়ি দিয়ে আকাশে উড়ে তাঁদের প্রণাম জানান মানুষজন। দ্বিতীয় আরও একটি কারণ রয়েছে মকরসংক্রান্তির দিন দিনভর ঘুড়ি ওড়ানোর।

দ্বিতীয় কারণটি হল সারাদিন সূর্যের আলোয় কাটানো। ঘুড়ি ওড়াতে গেলে খোলা আকাশের নিচে থাকতেই হবে। সারাদিন ঘুড়ি ওড়ানোয় কাটাতে গেলে সারাদিন রোদেও কাটাতে হবে।


এই সময় থেকে দেশে বসন্তের শুরু হয় বলে মনে করা হয়। দীর্ঘ শীতের দিন কাটানোর সময় ঠিকমত রোদ গায়ে না পড়া এবং শীতের কারণে ত্বকের ক্ষতি মানুষের চামড়া নষ্ট করে।

সেই ত্বকের যেকোনও সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য গায়ে রোদ লাগা জরুরি। রোদে ভিটামিন ডি বাড়ে। যা শরীরের পক্ষে উপকারি। আবার ত্বকের সমস্যায় রোদ ওষুধের কাজ করে অনেক সময়।

সব মিলিয়ে মানুষের ত্বক ও শরীর ভাল রাখতে শীতের শেষে সারাদিন রোদে কাটানো নিশ্চিত করতেই ঘুড়ি ওড়ানোর রীতি চালু হয় বলে মনে করা হয়। সারা দেশেই এদিন ঘুড়ি উড়লেও, গুজরাট ও রাজস্থানে এই ঘুড়ি ওড়ানো কার্যত উৎসবের আকার নেয়।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button