Festive Mood

মকরসংক্রান্তির দিন স্বেচ্ছা মৃত্যু বরণ করেন ভীষ্ম, পিছনে রয়েছে কারণও

মহাভারত অনুযায়ী পিতামহ ভীষ্ম স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করেছিলেন। তিনি সেই মৃত্যুর জন্য বেছে নিয়েছিলেন মকরসংক্রান্তির দিনকে। এর পিছনে রয়েছে কারণও।

মহাভারতের সঙ্গেও জড়িয়ে আছে মকরসংক্রান্তির নাম। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধক্ষেত্রে যখন শরশয্যায় পিতামহ ভীষ্ম শায়িত ছিলেন তখনও তিনি জীবিত। কারণ তিনি নিজে যতক্ষণ না চাইবেন, ততক্ষণ তাঁর মৃত্যু হবেনা। স্বেচ্ছা মৃত্যুর বর ছিল ভীষ্মের।

মহাভারতের অন্যতম চরিত্র ভীষ্ম কিন্তু শরশয্যায় অর্থাৎ অজস্র তির গাঁথা অবস্থায় জমি থেকে কিছুটা উপরে যন্ত্রণায় শায়িত ছিলেন, তখন তিনি স্বেচ্ছা মৃত্যু বরণ করতে পারতেন।


কিন্তু তা করেননি ভীষ্ম। তিনি অপেক্ষা করছিলেন বিশেষ দিনটির। আর সেই দিনটি ছিল মকরসংক্রান্তির দিন। যেদিনটার অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। মকরসংক্রান্তির দিন পিতামহ ভীষ্ম অবশেষে তাঁর মৃত্যুকে বরণ করেন।

বলা হয়, ভীষ্ম সূর্যের উত্তরায়ণের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। উত্তরায়ণ শুরুর দিনেই তাঁর এই মৃত্যু বরণের কারণও ছিল। মনে করা হয় মকরসংক্রান্তির দিন তাঁর মৃত্যু তাঁকে মোক্ষলাভের পথ খুলে দিয়েছিল। অর্থাৎ তাঁকে আর মানবজন্ম নিয়ে পৃথিবীতে ফিরতে হবেনা।


পুরাণ মতে, মকরসংক্রান্তির দিন নাকি স্বর্গের দরজা খুলে যায়। তাই এদিন মৃত্যু মানে স্বর্গপ্রাপ্তি। এই বিশ্বাস অতি প্রাচীন। মকরসংক্রান্তি তাই ভারতবাসীর কাছে এক অত্যন্ত পুণ্যতিথি।

এদিন অনেকেই গঙ্গা বা কোনও পবিত্র নদীতে স্নান করেন। যাঁরা তাঁদের ধারেকাছে এমন নদী পান না তাঁরা কোনও জলাশয়ে স্নান করে শুদ্ধ হওয়ার তৃপ্তি লাভ করেন। এই দিনটিকে সামনে রেখে দেশজুড়ে নানা প্রথা রীতি পালনও হয়ে থাকে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button