সাজানো ৩০০ রকমের রান্না, জামাই আদরে ত্রুটি রাখলেন না শ্বশুর শাশুড়ি
তাঁদের মেয়ের বিয়ে হয়েছে গত মাসে। বিয়ের পর জামাই আর শ্বশুরবাড়ি আসার সময় পাননি। তবে প্রথমবার এসে যা দেখলেন তা এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না তিনি।

বিয়ের পর মেয়ে জামাই প্রথমবার বাড়ি এলে জামাই আদরে কোনও পরিবারই ত্রুটি রাখতে চায় না। জামাই প্রথমবার বাড়ি আসছেন। তাই আয়োজন সাধ্যমত তো বটেই, এমনকি তার চেয়েও বেশি করে ফেলেন অনেকে। শ্বশুর শাশুড়ি জামাইয়ের যত্নআত্তির জন্য আগে থেকেই সব ব্যবস্থা পাকা করে রাখেন। যাতে জামাই খুশি হন।
ভারতে জামাইকে খুশি করার অন্যতম উপায় হল উপাদেয় রান্না। সাজিয়ে খেতে দেওয়াটা জামাই আদরের অন্যতম অঙ্গ। সেই সাজিয়েই নতুন জামাইকে খেতে দিয়েছিলেন শ্বশুর শাশুড়ি।
যা দেখে কার্যত আঁতকে ওঠার জোগাড় হয় জামাইয়ের। জামাইকে ৩০০ রকম খাবার সাজিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিটি পদ আলাদা। প্রতি পদের আলাদা আলাদা স্বাদ।
৩০০টি আলাদা পাত্রে সেসব খাবার সুন্দর করে সাজানো। যার মধ্যে ছিল বিরিয়ানি থেকে জিরা রাইস থেকে মিষ্টি থেকে আরও নানা জিভে জল আনা পদ।
শাশুড়ি জামাইকে জানান তিনি ৩ দিন ধরে রাতদিন এক করে জামাইয়ের জন্য সব রান্না করেছেন। এমন জামাই আদর স্বাভাবিকভাবেই ঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি।
এমন জামাই যত্নের কথা গোটা শহরে ছড়িয়ে পড়ে। অন্ধ্রপ্রদেশের আনাকাপল্লীতে ৩০০ রকম রান্নায় এমন জামাই আদরের কথা শুনে অনেকে জানার চেষ্টা করেন কি কি পদ ছিল তালিকায়।
যেমন তালিকায় ছিল টমেটো রাইস, ফ্রায়েড রাইস, পুলিহোরা সহ নানা চেনা অচেনা পদ। শ্বশুরবাড়িতে প্রথমবার এসে এমন খাতির যত্নের কথা তিনি জীবনেও ভুলতে পারবেন না বলেই জানিয়েছেন জামাই পি দেবেন্দ্র। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা