Festive Mood

এখানে ১০ দিন ধরে চলে রং খেলা, প্রত্যেক দিনের আলাদা নাম

দোলের দিনই রং খেলা হয়। কিন্তু এমনও এক জায়গা রয়েছে যেখানে টানা ১০ দিন ধরে চলে রং খেলা। প্রত্যেক দিন নতুন নামে হয় এই রঙিন উৎসব।

দোলের দিন রং খেলা তো পরিচিত। তার আগে বা পরে স্কুল, কলেজ, কোচিংয়ে একটুআধটু রং খেলা হয়ে থাকে। তবে তা দোল হিসাবে নয়। দোল বা হোলি একদিনই পালিত হয়। বাকি দিন সাধারণ দিন।

তবে এ ভারতেই এমন এক জায়গা রয়েছে যেখানে টানা ১০ দিন ধরে চলে রং খেলা। যাতে শামিল হন স্থানীয়রা। শামিল হন দেশ বিদেশ থেকে আসা মানুষজনও।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

এই জায়গার স্থান মাহাত্ম্যও অপরিসীম। শ্রীকৃষ্ণের প্রথম জীবনের একটা বড় সময় কেটেছে এখানেই। যাকে বলা হয় ব্রজভূমি। যমুনা নদীর তীর জুড়ে এই ব্রজভূমি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের লীলাক্ষেত্র। শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে রং খেলা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে। তাই আজও ব্রজভূমিতে রং খেলার অন্যই রূপ।

এখানে দোল শুরু হয় লাড্ডু হোলি দিয়ে। এবার লাড্ডু হোলি হয়েছে গত ১৭ মার্চ। যেখানে লাড্ডু হোলি হয় সেই বরসানাতেই পরদিন হয় লাঠমার হোলি। তার পরদিনও লাঠমার হোলি পালিত হয়। তবে সেটা বরসানায় নয়। হয় নন্দগাঁওতে।

গোপিনী ও শ্রীকৃষ্ণের মধ্যে রং দেওয়া নিয়ে যে খুনসুটি হত তাই উঠে আসে এই লাঠমার হোলিতে। তার পরদিন বৃন্দাবনের বাঁকেবিহারী মন্দিরে পালিত হয় ফুলওয়ালি হোলি। শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীরাধার ফুলের হোলি খেলাকে সামনে রেখে মন্দির চত্বরে অগণিত ভক্ত মেতে ওঠেন ফুলের হোলিতে।

Vrindavan
বৃন্দাবনের বাঁকেবিহারী মন্দিরে হোলি উদযাপন, ছবি – সৌজন্যে – উইকিমিডিয়া কমনস

এর পরদিন পালিত হয় ছড়িমার হোলি। যা পালিত হয় গোকুলে। তারপর হয় বিধবাদের হোলি খেলা। যা পালিত হয় বৃন্দাবনে। এর পরদিন হোলিকা দহন। তার পরদিন হয় হোলি।

যা ক্যালেন্ডার মেনে সারা দেশে পালিত হয়। তার পরদিন ব্রজভূমির মথুরায় খেলা হয় হুরাঙ্গা হোলি। এখানেই শেষ হয় ব্রজ কি হোলি-র ১০ দিনের রং খেলা।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *