World

আন্দোলনে উস্কানির অভিযোগে ফাঁসি হল জনপ্রিয় সাংবাদিকের

আন্দোলনে উস্কানি দিয়েছেন তিনি। এমন অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। বিদেশে পালিয়েও গিয়েছিলেন। কিন্তু পড়শি দেশে ফিরতেই তাঁকে আটক করে তারপর ফাঁসি দেওয়া হল।

তেহরান : ২০১৭-১৮ সালে তাঁর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তিনি দেশে সরকার বিরোধী আন্দোলনে ক্রমাগত উস্কানি দিয়েছেন। যা দেশের এবং আন্তর্জাতিক সুরক্ষার জন্য ভয়ংকর হয়ে ওঠে। তিনি এমন কিছু ভিডিও প্রকাশ করেন এবং লেখা দিতে থাকেন তাঁর খবরের ওয়েবসাইটে যে তা আন্দোলনে ঘৃতাহুতির কাজ করেছে।


এমনই অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তবে তিনি ছিলেন ইরানের এক জনপ্রিয় সাংবাদিকও। তাতে কী, তাঁকে প্রথম পড়শি দেশ থেকে অপহরণ করে তারপর তাঁর ফাঁসি দিল ইরান।

রুহোল্লা জাম নামে ওই সাংবাদিক তাঁর এমাদনিউজ নামে ওয়েবসাইটে আন্দোলনের খবর প্রকাশ করছিলেন। তখনই তিনি বুঝতে পারেন তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে।



সে সময় তিনি ফ্রান্সে পালিয়ে যান। সেখানে লুকিয়ে ছিলেন। গত বছর তিনি ইরাকে আসেন। সেইসময় ইরাক থেকে তাঁকে অপহরণ করে ইসলামিক রেভোলিউশন গার্ডস কর্পস।

ইরাক থেকে জামকে নিয়ে আসা হয় ইরানে। তারপর তাঁকে জেলবন্দি করা হয়। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জামের বিচার শুরু হয় ইরানের সুপ্রিম কোর্টে।

সেখানে বন্ধ দরজার পিছনে চলতে থাকে তাঁর বিচারপর্ব। অভিযোগ, জামকে বিচারপর্বে আত্মপক্ষ সমর্থনে কোনও আইনজীবী পর্যন্ত নিতে দেওয়া হয়নি। তাঁর তরফে কোনও আইনজীবীই ছিলেননা। মে মাস পর্যন্ত চলে বিচারপর্ব।

ইসলামিক রিপাবলিক জুডিসিয়ারি ৪ দিন আগে ঘোষণা করে যে বিচারে জামকে ফাঁসির সাজা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তারপর সময় নষ্ট না করে শনিবারই জামের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। জামকে যে ইরাক থেকে অপহরণ করে ইরানে নিয়ে আসা হয় ২০১৯-এর সেপ্টেম্বরে তা তাঁর স্ত্রী প্রকাশ করেছিলেন।

আন্দোলনে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ জামের বিরুদ্ধে করেছিল ইসলামিক রেভোলিউশন গার্ডস কর্পস। সেইসঙ্গে তারা এও দাবি করে যে জামকে ফ্রান্স, আমেরিকা ও ইজরায়েলের গোয়েন্দা বিভাগ যৌথভাবে কী করতে হবে তার নির্দেশ দিয়েছিল।

জামকে আশ্রয় দেওয়ার কাজও করেছিল তারা। ফ্রান্সে লুকিয়ে ছিলেন জাম। অবশেষে তাঁকে আটক করে ফাঁসিকাঠে ঝোলাল ইরান। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button