এইসব মৌচাক বাড়ির আসল চমক লুকিয়ে আছে এর একদম মাথায়
বাড়িগুলি দেখে চমক লাগতেই পারে। এমন সারি দেওয়া বাড়ির আসল চমক কিন্তু লুকিয়ে থাকে এই বাড়িগুলির একদম মাথায়। সেটা জানলে অবাক হয়ে যাবেন।
![Beehive House](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2023/04/beehive-house-1.jpg)
এমন বাড়ির সঙ্গে পরিচিত নন ভারতবাসী। তবে এমন বাড়ি সারি সারি রয়েছে। যার আদি ইতিহাস শুনলে অনেকেই অবাক হবেন। এসব বাড়িতে যাঁরা থাকেন তাঁরা একে বলেন মৌচাক বাড়ি। বাসিন্দারা বেজায় খুশি এমন বাড়িতে থেকে।
বাড়িগুলি তৈরি হয় মাটি, খড়, পাথর দিয়ে। বাড়ির দেওয়াল অত্যন্ত মোটা হয়। ফলে গরমেও এর ভিতরে একবার প্রবেশ করলে অদ্ভুত এক ঠান্ডা অনুভূতি হয়। তাই প্রবল গরমে এ বাড়িতে থাকার আরামই আলাদা।
![Beehive House](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2023/04/beehive-house-2.jpg)
এই মৌচাক বাড়ি কিন্তু তৈরি করা হত খ্রিস্টপূর্ব ৩ হাজার ৭০০ বছর আগেও। এখনকার সিরিয়া এবং ইরান যেখানে রয়েছে সেখানে তখনকার বাসিন্দারা এমন বাড়ি তৈরি করতেন। তখন গ্রাম হোক বা নগর, সর্বত্র এমন বাড়ি তৈরি হত। সেখানে প্রবল গরমেও এ বাড়িতে থাকাটা আরামদায়ক ছিল।
বাড়িগুলি দেখে মনে হতে পারে এখানে আলো ঢোকে কীভাবে? এখানেই চমক। এই বাড়িগুলির মাথার কাছে একটি গোল গর্ত থাকে। সেই গর্ত দিয়ে সূর্যের আলো এসে পড়ে ঘরের মধ্যে। আবার ঘরের মধ্যে তৈরি হওয়া গরম হাওয়া এই ফাঁক গলেই বাইরে বেরিয়ে যায়।
![Beehive House](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2023/04/beehive-house.jpg)
এখানে মনে হতে পারে তাহলে বৃষ্টি নামলে তো মুশকিল। কিন্তু এই গর্ত এমনভাবে করা হত যাতে বৃষ্টির জল ভিতরে না পড়ে বরং বাড়ির ঢালু গা বেয়ে পড়ে যায়।
এখনও সিরিয়া এবং ইরানে গ্রামের দিকে এমন মৌচাক বাড়ি রয়েছে। সেখানে এমন বাড়িতে মানুষ যেমন থাকেন, তেমনই কিছু বাড়িকে শস্যাগার হিসাবে ব্যাবহার করা হয়।