কিভাবে জন্ম হয় হাওয়াই মিঠাই বা বুড়ির চুলের, সে এক মজার কাহিনি
বুড়ির চুল কার না ভাল লাগে। ছোটদের প্রিয় হলেও তা সব বয়সের মানুষকেই টানে। যা তৈরি করেছিলেন একজন দাঁতের ডাক্তার। সে কাহিনি দারুণ মজার।
![Food](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2024/05/food-2.jpg)
বাংলায় এ খাবারটি বুড়ির চুল বলেই পরিচিত। ইংরাজিতে যাকে বলে কটন ক্যান্ডি। একটি সরু লাঠি। তার চারধার জুড়ে ফুলে ফেঁপে থাকে তুলোর মত জিনিস। অনেকটা জুড়ে তুলোর মত ফেঁপে থাকা জিনিসটিতে কামড় বসালে দারুণ মিষ্টি। একটু চটচটে।
এর রংও নানা হয়। সাদা, গোলাপি এবং আরও। অনেক মেলায় এখনও কটন ক্যান্ডি বা হাওয়াই মিঠাই-এর স্টল থাকে। সেখানে ভিড়ও উপচে পড়ে।
আজ যখন মুখরোচক খাবারের তালিকা শেষ হওয়ার নয়, সেখানে আজও ছোটরা হাওয়াই মিঠাই-এর বায়না ধরতে ছাড়ে না। এই কটন ক্যান্ডি কিন্তু তৈরি করেছিলেন একজন দাঁতের ডাক্তার।
শুনে অবাক লাগতে পারে, কিন্তু উইলিয়াম মরিসন নামে ওই দন্ত চিকিৎসকের মাথায় এমন একটি যন্ত্রের কথা আসে যাতে চিনি দিয়ে প্রবল গতিতে ঘোরালে চিনি তুলোর মত হয়ে ছড়িয়ে পড়বে।
তিনি তাঁর ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে এক লজেন্স ব্যবসায়ীর সাহায্য নেন। তারপর ২ জনে মিলে একটি যন্ত্রকে পূর্ণ রূপ দেন। যে যন্ত্রে চিনি প্রবল গতিতে ঘুরতে থাকে। আর ঘোরার জেরে যে তুলোর মত বস্তু সৃষ্টি হয় তা ছোট ছোট ফুটো দিয়ে বেরিয়ে আসে।
সেই তুলোর সামনে একটি লাঠি ধরে ঘোরাতে থাকলে তা লাঠির গায়ে জড়িয়ে যেতে থাকে। আর সেভাবেই একটি কটন ক্যান্ডি বা হাওয়াই মিঠাই বা বুড়ির চুল তৈরি হয়ে যায়।
যন্ত্রটি ১৮৯৭ সালে তৈরি হলেও তা পরিচিতির শিখরে পৌঁছয় ১৯০৪ সালের একটি মেলাকে কেন্দ্র করে। সেখানেই কার্যত বিশ্বের নজর কাড়ে এই কটন ক্যান্ডি মেশিন। তারপর এই মিষ্টি তুলোর মত খাদ্যটিকে জনপ্রিয় হতে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। আজও যা সমান জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে।