একা মরুভূমির মাঝে জেগে থাকে একটা হাত, বহুদূর থেকে মানুষ ছোটেন সেই হাতের টানে
বহু বহু দূরেও কোনও মানুষের দেখা মিলবে না। শুধু বালি আর বালি। তার মাঝেই একটা হাত কেবল জেগে থাকে। অনেক কথা বলতে চায় সে।
![Atacama Desert](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2024/06/atacama-desert.jpg)
মরুভূমি সম্বন্ধে কমবেশি ধারনা সকলের আছে। পৃথিবীতে এমনও কয়েকটি মরুপ্রান্তর রয়েছে যেখানে চৌহদ্দির মধ্যে মানুষের বাস নেই। অনেক কষ্ট সহ্য করেও কেউ যদি বসতি গড়তে চায় সেখানে, তাও সম্ভব নয়। এমনই প্রতিকূল পরিস্থিতি সেখানে।
এমন এক মরুপ্রান্তরের মাঝে যেখানে জনপ্রাণির দেখা মেলেনা, সেখানে পৌঁছলে কিন্তু একটি হাতের দেখা মেলে। যা ওই অসহ্য মরু উত্তাপের মধ্যেই বছরের পর বছর ধরে একইভাবে জেগে থাকে।
![Atacama Desert](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2023/03/atacama-desert.jpg)
চারটি আঙুল একসঙ্গে আর বুড়ো আঙুলটি তার পাশেই থাকে। বালিতে হাতের চেটোর নিচের অংশ অনেকটাই যেন ঢাকা। পাথরের এই স্থাপত্যটি বিশ্বের খ্যাতনামা মরুভূমি আতাকামা-তে গেলে দেখতে পাওয়া যায়।
![Atacama Desert](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2023/07/atacama-desert.jpg)
হাতটি দক্ষিণ আমেরিকার চিলি-র আতাকামা মরুভূমির অন্যতম দ্রষ্টব্যও বটে। এখানে যাঁরা পর্যটক হিসাবে হাজির হন তাঁদের প্রধান আকর্ষণই হল এই স্থাপত্য।
চিলির বিখ্যাত ভাস্কর মারিও ইরারাজাবাল এই বিশাল হাত তৈরি করেন মরুভূমির মাঝে। এ হাত একসঙ্গে অনেক কথা বলে যায়। ধুধু প্রান্তরের মাঝে একা জেগে থাকা এই হাত একাকীত্বের কথা বলে। একাকীত্বের যন্ত্রণার কথা বলে। যেন ডাকতে চায় সকলকে। বলে এই তো আমি। কিন্তু সে প্রান্তরে তার ডাকে সাড়া দেওয়ার কেউ নেই।
![Atacama Desert](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2024/06/atacama-desert-1.jpg)
মানুষের সেই যন্ত্রণা স্মারক হয়ে এই হাত বছরের পর বছর জেগে থাকে মরুভূমির মাঝে। ১৯৯২ সালে এই স্থাপত্যটির উদ্বোধন হয়। তারপর থেকে সেটি আজও পর্যটকদের কাছে আতাকামা মরুভূমির অন্যতম আকর্ষণ।