Kolkata

নিজেকে মিউজিক পার্টির লোক বললেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী

তাঁর বাড়িতে অমিত শাহ-র আসা এবং সময় কাটানো নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। তবে বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন তিনি গানের দলের লোক।

কলকাতা : তাঁর সিপিএম নেই, কংগ্রেস নেই, তৃণমূল নেই, তিনি মিউজিক পার্টির লোক। এদিন এভাবেই যাবতীয় জল্পনায় জল ঢালার চেষ্টা করলেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী।

শুক্রবার দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর বাড়িতে হাজির হন। সেখানে প্রায় আধ ঘণ্টা ছিলেন তিনি। অমিত শাহর সঙ্গে এসেছিলেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। সঙ্গীতশিল্পীর গলফ ক্লাব রোডের সামনে তখন বহু বিজেপি কর্মীর ভিড়। কোণা কোণা সুরক্ষা বলয়ে ঢাকা।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

অমিত শাহ পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর বাড়িতে এসে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর ছাত্রছাত্রীদের গান শোনেন। সময় কাটান। পরে তিনি বেরিয়ে সল্টলেকে পাড়ি দেন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে।

এদিকে অমিত শাহর বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর বাড়িতে আসা এবং সময় কাটানো নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জলঘোলা শুরু হয়ে যায়। তাহলে কী অজয় চক্রবর্তী বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, তাঁর বাড়িতে অমিত শাহর মত বড় মাপের একজন নেতা এসেছেন এটা তাঁর জন্য গর্বের। তাঁর সেই সাহস নেই যে তিনি অমিত শাহর মত দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানাবেন। অমিত শাহ নিজেই তাঁর বাড়িতে আসেন।

তবে অমিত শাহর মত মানুষ আসাটা পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর জন্য অবশ্যই আনন্দের হয়েছে। তবে তাঁর কোনও দল নেই। তাঁর সিপিএম নেই, কংগ্রেস নেই, তৃণমূল নেই, তিনি কেবল মিউজিক পার্টির লোক। ছোট থেকে সঙ্গীত সাধনাই করেছেন। আর কিছু বিশেষ বোঝেন না। অন্য কোনও কারণে তাঁর বাড়িতে কেউ আসেনও না।

অজয় চক্রবর্তীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে অমিত শাহ হাজির হন সল্টলেকে। সেখানে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপর সেখান থেকে যান রাজারহাটের জ্যোতিনগরে মতুয়া মহাসংঘের মন্দিরে। সেখানে পুজো দেন অমিত শাহ।

পুজো দেওয়ার আগে স্থানীয় মতুয়া বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বলেন অমিত শাহ। শোনেন তাঁদের সমস্যার কথা। পুজো দিয়ে সেখান থেকে আদর্শপল্লীতে গিয়ে এক মতুয়া পরিবারে মধ্যাহ্নভোজন সারেন অমিত শাহ।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *