National

জনাদেশে ক্রমশ বাড়ছে এনডিএ-র আসন, বেহাল ইউপিএ

গণনা শুরুর পর সকালে যে ছবিটা ছিল তাতে এনডিএ যে দুরন্ত গতিতে এগোচ্ছে তা স্পষ্ট ছিল। পাশাপাশি দেখা যাচ্ছিল ইউপিএ গতবারের চেয়ে তাদের আসন কিছুটা হলেও বাড়িয়েছে। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যখন এগিয়ে থাকার নিরিখে প্রায় সাড়ে ৩৫০-র কাছে পৌঁছতে চলল এনডিএ, তখন ইউপিএ কমতে কমতে প্রায় ৮০-র কাছে। অর্থাৎ কংগ্রেস ও তার সহযোগী দলগুলির ভরাডুবি ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। খোদ আমেঠিতেই দুপুর পর্যন্ত পিছিয়ে রাহুল গান্ধী। তবে কেরালার ওয়ানাডে অনেকটা এগিয়ে আছেন তিনি। অন্যদিকে বিজেপি ঝড়েও সুলতানপুর আসনে কিছুটা পিছিয়ে বিজেপি প্রার্থী মানেকা গান্ধী।

রাজস্থানে যেখানে কংগ্রেস সরকারে সেখানে বিজেপি সব আসনে এগিয়ে। গুজরাটেও বিজেপি সব আসনে এগিয়ে। মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগড়ে কংগ্রেস সরকারে, সেখানেও বিজেপি ঝড় স্পষ্ট। কর্ণাটকে জেডিএস-কংগ্রেস সরকারে, তারা এখনও কোনও আসনে এগিয়ে নেই। বিরোধী জোটের অন্যতম মুখ ছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু। অন্ধ্রপ্রদেশে চন্দ্রবাবু নাইডুর ভরাডুবি স্পষ্ট। লোকসভা ও বিধানসভায় অনেক পিছিয়ে তাঁর তেলেগু দেশম পার্টি। অন্ধ্রপ্রদেশে স্বপ্নের উত্থান হচ্ছে ওয়াইএসআর কংগ্রেসের। ওড়িশায় অবশ্য গেরুয়া ঝড়ের ইঙ্গিত তেমন নেই। সেখানে বিজু জনতা দলের প্রতিপত্তিই বজায় রয়েছে। তবে আসন সংখ্যা কমেছে।

বারাণসী আসনে প্রত্যাশিতভাবেই এগিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেড় লক্ষ ভোটে এগিয়ে আছেন তিনি। গান্ধীনগর থেকে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ২ লক্ষের বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন। কংগ্রেসের অন্যতম নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে অনেকটা পিছিয়ে আছেন।

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কিন্তু তাদের উত্থান স্পষ্ট করেছে। রাজ্যে দ্বিতীয় দল তো বটেই এমনকি তৃণমূলের ঘাড়ে যে তারা নিঃশ্বাস ফেলছে তা পরিস্কার হয়ে গেছে। যেখানে অনেক এক্সিট পোল পূর্বাভাস দিয়েছিল রাজ্যে ঝড় তুলে বিজেপি ১৬টি আসন পেতে পারে, সেখানে বিজেপি ১৮টি আসনে এগিয়ে। অনেকগুলি আসনেই চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। প্রতি রাউন্ড গণনার শেষে কখনও বিজেপি এগিয়ে যাচ্ছে। কখনও তৃণমূল প্রার্থী। এই লড়াই কোথায় থামে সেদিকেই চেয়ে সকলে।

পূর্ব মেদিনীপুরে প্রবল লড়াই হচ্ছে তৃণমূলের মানস ভুঁইয়া ও বিজেপির দিলীপ ঘোষের মধ্যে। একইভাবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে রায়গঞ্জ কেন্দ্রে। গতবার রাজ্যে এই রায়গঞ্জ আসনটি পেয়েছিল সিপিএম। এবার বামেরা কোথাওই খাতা খুলতে পারেনি। এমনকি রায়গঞ্জে গতবারের সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম এবার তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। অবশ্য গণনা এখনও শেষ হয়নি।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *