শাপমোচনে প্রতিবছর শাড়ি পরে এই জনপ্রিয় নাচটি নাচেন পুরুষরা
দেশে বিভিন্ন উৎসবের নানারকম রীতি প্রচলিত আছে। যারমধ্যে কয়েকটি অত্যন্ত অভিনব। সংস্কারের বশেই মানুষ নিজ নিজ সম্প্রদায়ের আচার অনুষ্ঠান পালনে সেগুলি মেনে চলেন।

প্রায় ২০০ বছরের পুরনো একটি শাপমোচনের প্রথা হিসাবে এক অভিনব আচার আজও পালিত হয়। এই প্রথা আসলে সাদু মাতা নামে এক মহিলার তপস্যা এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি মাধ্যম।
কথিত আছে, প্রায় ২০০ বছর আগে সাদু বেন নামে এক মহিলা একটি বিপদে পড়েন। তখন তিনি তাঁর আশেপাশে থাকা পুরুষদের কাছে সাহায্য চাইলে তাঁরা প্রত্যাখ্যান করেন। তখন রাগে অন্ধ হয়ে সাদু বেন ওই পুরুষদের অভিশাপ দেন।
মনে করা হয় ওই অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতেই গুজরাটের বারোট সম্প্রদায়ের পুরুষরা বছরের পর বছর ধরে নারী রূপে নিষ্ঠা ভরে একটি নিয়ম পালন করে চলেছেন।
নবরাত্রির অষ্টম রাতে গুজরাটের আমেদাবাদে বারোট সম্প্রদায়ের পুরুষরা প্রতিবছর নিয়ম মেনে শাড়ি পরে গরবা নাচে অংশ নেন। বারোটদের বিশ্বাস এতে তাঁদের সংসারে সুখ, সমৃদ্ধি আসে। সন্তানদের জীবন মঙ্গলময় হয়।
এটি ‘শেরী গরবা’ নামে পরিচিত। আমেদাবাদের সাদু মাতা নি পোল নামে জায়গায় কয়েক হাজার মানুষের বাস। ওই এলাকাতেই সাদু মাতার মন্দির প্রতিষ্ঠিত। প্রতিবছর নবরাত্রির অষ্টমীর রাতে বারোট পুরুষরা ওই মন্দিরে পুজো দেন।
পুজোর শেষে তাঁরা শাড়ি পরে গরবা নাচেন। সাদু মাতার আশির্বাদ প্রার্থনা করেন। এই প্রথাটি বারোট সম্প্রদায়ের একটি গভীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বহন করে। যা দেবীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অতীতের অন্যায়ের প্রায়শ্চিত্ত করার মিলিত প্রয়াস রূপে গণ্য হয়।