World

ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের হুমকি, যুদ্ধের ইঙ্গিতে আতঙ্কে গোটা বিশ্ব

সম্পর্ক অনেক কাল ধরেই তলানিতে। কিন্তু জেনারেল পদমর্যাদার একজনের গাড়িতে ট্রাম্প বিমান হানা চালানোর নির্দেশ দেওয়ায় পরিস্থিতি চরম মোড় নিল।

মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে বিমান হানা চালায় মার্কিন সেনা। বিমান থেকে টার্গেট করে বোমা ফেলা হয় ইরানের জেনারেল কাসেম সোলেইমানি-র গাড়িতে। কাসেম সহ গাড়ির সকলেরই মৃত্যু হয় সেই মার্কিন বিমান হানায়। মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্দেশেই যে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে তা বিবৃতি দিয়ে পরিস্কার করেছে পেন্টাগন। এদিকে কাসেমের মৃত্যু ইরানের মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে ধিকিধিকি জ্বলা আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছে।

জেনারেল কাসেমের মৃত্যু একজন সম্মানীয় কমান্ডারের মৃত্যু বলে ব্যাখ্যা করেছেন ইরানের প্রধান আয়াতোল্লা খামেনেই। খামেনেই সাফ জানিয়েছেন, এই কাণ্ডের প্রতিশোধ নেওয়া হবে। প্রতিশোধ নেওয়া হবে ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে। কাসেমের মার্কিন বিমান হানায় মৃত্যু, এই বিমান হানা করার জন্য মার্কিন রাষ্ট্রপতির নির্দেশ ও তারপর খামেনেই-এর প্রতিশোধ বার্তা গটা বিশ্বের জন্যই আতঙ্কের। কারণ ইরান যদি প্রতিশোধের রাস্তায় হাঁটে তাহলে একটা যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হওয়া আশ্চর্যের নয়। যার আঁচ গোটা বিশ্বের ওপরই পড়বে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের সম্পর্ক অনেক কাল ধরেই তলানিতে। কিন্তু জেনারেল পদমর্যাদার একজনের গাড়িতে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিমান হানা চালানোর নির্দেশ দেওয়ায় পরিস্থিতি চরম মোড় নিল। যা যে কোনও মুহুর্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। ইতিমধ্যেই ইরাক ছেড়ে সব মার্কিন নাগরিককে চলে যেতে বলেছে মার্কিন প্রশাসন। তাও যত দ্রুত সম্ভব। সে আকাশপথেই হোক বা সড়ক পথে। সময় নষ্ট না করে যেন তাঁরা বেরিয়ে পড়েন, তেমন পরামর্শই দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button