World

ইমরানের কাঁধে দেশের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব এখন সময়ের অপেক্ষা

পাকিস্তানে বুধবার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। রক্তাক্ত সেই নির্বাচনে রিগিং থেকে বুথ দখল, সব কিছুরই অভিযোগ সামনে এসেছে। সন্ত্রাসবাদী হানা হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে। তারমধ্যেই পাকিস্তানের আমজনতা কিন্তু ভোট দিতে কার্পণ্য করেননি। ভীত হননি। সেই ভোট শেষ হওয়ার পরই শুরু হয় গণনা। আর সেই গণনা শুরুর পর থেকেই পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের মসনদ এবার কার হাতে যেতে চলেছে। তিনি ইমরান খান। একসময়ে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের কিংবদন্তী অধিনায়ক। যাঁর হাত ধরে পাকিস্তান জিতেছে বিশ্বকাপ। সেই ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ ভোটের ফলে সবাইকে অনেকটা পিছনে ফেলে হু হু করে এগিয়ে যেতে থাকে।

গণনা শুক্রবার সকালেও অব্যাহত। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে ততই ব্যবধান বেড়েছে ইমরানের দলের। ২৭২ আসন বিশিষ্ট পাকিস্তানে ১১৮টি আসনে জয় অনেকটাই নিশ্চিত ইমরান খানের। তার ঠিক পিছনেই ৬৩টি আসন জিততে চলেছে নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান আওয়ামী লিগ নওয়াজ। অন্তত ট্রেন্ড তেমনই। কিছুটা পিছিয়ে থেকেও শেষের দিকে বেশ কয়েকটি আসন জিতে নিয়ে সাকুল্যে ৪৩টি আসন পকেটস্থ করতে পারে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাবল ভুট্টোর নেতৃত্বে থাকা পাকিস্তান পিপলস পার্টি। বাকি অন্য দলগুলি মিলিয়ে পেতে পারে ৪৮টি আসন।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে উঠে এলেও ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ কিন্তু নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাচ্ছে না। তেমনই ইঙ্গিত পরিস্কার। ফলে তাদের জোট গড়তে হবে। সেক্ষেত্রে অন্যান্যদের হাতে থাকা আসনগুলির সঙ্গে গাঁটছড়া হতে পারে পিটিআই-এর। ফলে পাকিস্তান কেন প্রায় গোটা বিশ্বই মনে করছে এবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর আসনে দেখা যেতে চলেছে ইমরান খানকে।

এদিকে ভোটে ব্যাপক রিগিং, বুথ দখলের অভিযোগ করে এই ভোটকে প্রহসন বলে দাবি করেছে নওয়াজ শরিফের দল বা বিলাবল ভুট্টোর দল। ভারতও বুঝিয়ে দিয়েছে তাদের কাছে ইমরান খান পাক সেনারই প্রতিনিধি। সেনার প্রার্থী। এই অবস্থায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে ইমরান খান বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন সমস্যা সমাধানে তিনি ভারতের সঙ্গে এক টেবিলে বসতে তৈরি। ভারত একধাপ এগোলে, তিনি ২ ধাপ এগোবেন। ভারতীয় মিডিয়া তাঁকে ভিলেন বানাতে উঠেপড়ে লেগেছে বলে দাবি করে ইমরান বলেন ভারতীয় মিডিয়া তাঁকে বলিউডের ভিলেন বানিয়ে দিয়েছে। তিনি চান ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠুক। যা উপমহাদেশের জন্যই মঙ্গলের হবে।

(ছবি – সৌজন্যে – ট্যুইটার)

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *