সরস গোলাপজাম দেখলেই জিভে জল আসে, এটা দেশের খাবারই ছিলনা
অনেকেই মনে করেন বিভিন্ন মিষ্টির মত গোলাপজাম দেশেরই এক আদি মিষ্টি। তা কিন্তু একেবারেই নয়। দেশবাসী গোলাপ জাম কাকে বলে জানতেনই না।
মিষ্টির দোকানে গরম গোলাপজাম দেখতে পেলে অনেকেই নিজেকে ধরে রাখতে পারেননা। বেশ কয়েকটা মুখে পুরে তবে যেন মনটা শান্ত হয়। এ মিষ্টির এমনই অমোঘ টান। স্বাদও অতুলনীয়। হিন্দিভাষীরা একে গুলাব জামুন বলে থাকেন। ফলে বাংলার বাইরে এই মিষ্টি এই নামেই পরিচিত।
বিয়ে থেকে শুরু করে, হোলি-দিওয়ালী বা অন্য যে কোনও উৎসব আনন্দে শামিল হয় এই গোলাকার সরস মিষ্টি। যা মুখে দিলে গলে যায়।
অনেক মিষ্টির মত ভারতীয়রা মনে করেন গোলাপজামও তাঁদেরই তৈরি এক প্রাচীন মিষ্টি। কিন্তু বাস্তবটা একেবারেই তা নয়। গোলাপজাম এসেছিল অন্য দেশ থেকে।
সোনালি বাদামী রংয়ের গোলাকার রসে টইটম্বুর এই এলাচ, জাফরান, গোলাপজল দিয়ে তৈরি মিষ্টি ভারতে এসেছিল পারস্য থেকে। পারস্য থেকে ভারতে যখন হানা হয় তখন হানাদাররা খাবার জন্য সঙ্গে করে তাদের শেষ পাতের মন ভাল করা গোলাপজাম নিয়ে আসে।
তাদের হাত ধরেই ভারতে প্রবেশ করে এই মিষ্টি। যা তারপর ভারতীরাও খাওয়া শুরু করে দেন। গুলাব জামুনের গুলাব এসেছে পারস্য ভাষার ২টি শব্দ থেকে।
পারস্যে গুল মানে ছিল ফুল আর আব মানে জল। এই দুয়ে মিশে হয় গুলাব। পারস্যে এই মিষ্টিকে সকলে চিনতেন লুকমত আল কাদি নামে।
যেখানে খোয়া ক্ষীরের বল মধুতে ডুবিয়ে এই মিষ্টি তৈরি হত। পারস্যের হানাদারদের হাত ধরে ভারতে প্রবেশ করা এই মিষ্টি কিন্তু এখন ভারতীয়দের অন্যতম মন ভাল করা ডেজার্ট।