National

ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা ছাড়া কেউ পাশ নয়, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট

ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা ছাড়া কোনও ছাত্রছাত্রীকে পাশ করানো যাবে না। সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।

নয়াদিল্লি : কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা করোনা পরিস্থিতিতে না নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পাশ করিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব বিভিন্ন মহল থেকেই উঠেছিল। কিন্তু ইউজিসি জানিয়েছিল তা সম্ভব নয়। পরীক্ষা না নিয়ে সকলকে উত্তীর্ণ করা যাবে না। এর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন ছাত্র সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল কোনওভাবেই কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা ছাড়া কোনও পড়ুয়াকে উত্তীর্ণ করিয়ে দেওয়া যাবে না। পরীক্ষা নিতেই হবে।

সুপ্রিম কোর্ট পরীক্ষা বাতিল করতে পারেনা। একথা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্ট এও জানিয়েছে যে কোনও রাজ্য সরকার চাইলে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করতে পারে। কিন্তু পরীক্ষা নেওয়াই হবে না, এমনটা করা যাবেনা। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে কোনও রাজ্য সরকার যদি মনে করে সে রাজ্যে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা গ্রহণ মুশকিল, সেক্ষেত্রে তাদের ইউজিসি-র কাছে তা জানাতে হবে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

যা দাঁড়াল তাতে পরীক্ষা আবশ্যিক একথা এদিন পরিস্কার করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এদিকে পশ্চিমবঙ্গে কিছু জায়গায় ইতিমধ্যেই রেজাল্ট বার করা হয়ে গেছে। ফলে সেসব জায়গায় রেজাল্ট বাতিল করা হবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গেছে। ইউজিসি আগেই জানিয়েছিল যে কোনও ছাত্রছাত্রীকে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেওয়ার আগে তাঁর পরীক্ষা নেওয়া জরুরি। পরীক্ষা না দিয়েই স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেওয়া সম্ভব নয়। শীর্ষ আদালতকে ইউজিসি এও জানায় যে এটা কোনও ফতোয়া নয়। তবে পরীক্ষা না দিয়েই ডিগ্রি দেওয়ানোর সিদ্ধান্ত কোনও রাজ্যসরকার গ্রহণ করতে পারেনা।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি আর সুভাষ রেড্ডি এবং বিচারপতি এমআর শাহ-র বেঞ্চ শুক্রবার পরীক্ষা নিতেই হবে এটা পরিস্কার করে দিয়েছে, তেমনই এটাও পরিস্কার করে দিয়েছে যে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই যে ইউজিসি-র নির্দেশমতো পরীক্ষা নিতেই হবে এমনটাও নয়। পরীক্ষা প্রয়োজনে পিছোতে পারে। সে বিষয়ে ইউজিসি-র সঙ্গে রাজ্যসরকারকে কথা বলতে হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *