National

বারবনিতাদের মুখে হাসি ফোটাল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ

বারবনিতাদের এই করোনাকালে স্বস্তির নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। তাঁদের পক্ষে গেল শীর্ষ আদালতের রায়।

নয়াদিল্লি : তাঁদের কোনও পরিচয়পত্র নেই। তাই দেশজুড়ে প্রায় ৯ লক্ষ বারবনিতা একগুচ্ছ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। করোনা, লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব, সংক্রমণের আশঙ্কা সবই তাঁদের ক্রমশ অর্থনৈতিক দিক থেকে পঙ্গু করে দিয়েছে।

যে রেশনটুকু বহু দরিদ্র মানুষ পেয়ে থাকেন সরকারের কাছ থেকে সেটা থেকেও বঞ্চিত তাঁরা। তাঁদের এই চরম দুর্দিনে তাঁদের সমস্যা বিবেচনা করেই রায় দিলেন সুপ্রিম কোর্ট।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

এনজিও দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটি-র করা একটি আবেদনের ভিত্তিতেই এই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এন নাগেশ্বর রাও ও বিচারপতি অজয় রস্তোগি-র বেঞ্চ মঙ্গলবার রায় দিয়েছে যে রাজ্যসরকারগুলিকে তাদের রাজ্যে বসবাসকারী বারবনিতাদের শুকনো রেশন দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। আর তা দিতে হবে তাঁদের কোনও পরিচয়পত্র ছাড়াই।

কেবল ন্যাশনাল এডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন বা ডিসট্রিক্ট লিগাল অথরিটি দ্বারা তাঁদের মান্যতা থাকলেই হবে। অর্থাৎ এঁদের কাছে নথিভুক্ত হলে যে কোনও বারবনিতা আগামী দিনে কোনও পরিচয় পত্র না দেখিয়েই শুকনো রেশন পাবেন।

সুপ্রিম কোর্ট রায়ে জানিয়েছে রাজ্যসরকারগুলিকে এই রায় সম্বন্ধে অবহিত করবে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। কতজন বারবনিতা সরকারি রেশন পাওয়ার সুফল ভোগ করতে পারলেন তার তালিকাও আদালতকে দিতে হবে।

পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটক সরকারের তরফে অবশ্য শীর্ষ আদালতকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে তারা ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে পদক্ষেপ করেছে।

কেন্দ্রের কাছেও শীর্ষ আদালত জানতে চেয়েছে যে এই অতিমারি পরিস্থিতিতে বারবনিতাদের জন্য কোনও আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থা কেন্দ্র করতে পারবে কিনা। যা কেন্দ্রকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে।

সুপ্রিম কোর্ট এদিন বারবনিতাদের আরও বেশ কিছু সমস্যা সমাধান করা নিয়ে তাদের চিন্তা ব্যক্ত করেছে। পরিচয়পত্র না থাকায় বারবনিতারা ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেননা, তাঁরা অন্যান্য সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হন সেই পরিচয়পত্রের অভাবে।

যদিও আদালত এটাও জানায় যে তাদের কাছে অবিলম্বে শুকনো রেশন নিশ্চিত করার বিষয়টি সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *