National

ছবি বদলাল না, পুরীর রথযাত্রায় অমিল ভক্তের ভিড়

গত বছর যে ছবি দেখা গিয়েছিল, সেই ছবিই ফের এবছরও চোখে পড়ল। পুরীর রথযাত্রায় সবই হল, শুধু ভক্তরাই রইলেন না।

পুরীর রথযাত্রা মানে একটা চেনা ছবি সকলের চোখের সামনে ভাসে। যাঁরা সেখানে সেদিন গিয়েছেন তাঁরা চর্মচক্ষে সেই লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় দেখতে পেয়েছেন।

যাঁরা টিভির পর্দায় চোখ রাখেন তাঁরাও জানেন ভিড়ের ছবিটা ঠিক কেমন হয়। সেই চেনা, বহু পরিচিত ছবি গত বছর নজরে পড়েনি।

কেবল সেবায়েত ও মন্দির কমিটির লোকজন মিলেই রথযাত্রার নিয়ম রীতি পালন করে রথের দড়িতে টান দিয়েছিলেন। এবারও সেই একই ছবি নজর কাড়ল। এবারও ভক্ত শূন্য পুরীর রথযাত্রা।

পুরীর রথযাত্রায় শামিল হতে দেশ, বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় জমান এই সমুদ্র শহরে। প্রতিবছর রথের দিন এমনই এক আবহ দেখে অভ্যস্ত পুরীর বাসিন্দারা।


কিন্তু সেই অতি পরিচিত বাৎসরিক ছবি পরপর ২ বছর অমিল। গত বছর অবশ্য সুপ্রিম কোর্টের শেষ মুহুর্তের অনুমতিতে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। তবে কার্ফু জারি করে।

এবার তেমনটা না করতে হলেও রথযাত্রায় ভক্তের ঢল একেবারেই নিষিদ্ধ। কেবল ৩ হাজারের মত সেবায়েত এই রথযাত্রায় শামিল হয়েছেন।

এবছর সকাল থেকে রথ সাজিয়ে সেখানে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে মন্দির থেকে এনে বসানো, পুরীর শঙ্করাচার্যের রথ পরিক্রমা, পুরীর রাজার সোনার ঝাঁটা দিয়ে পথ সাফাই, সবই হয়েছে নিয়ম মেনেই।

তারপর রথের রশিতে টান পড়ে যথা সময়ে। রথ এগোয় তার পথ ধরে গুন্ডিচা বাড়ির উদ্দেশে। রথ টানেন সেবায়েতরাই।

পুরীর রথযাত্রার অন্যতম আকর্ষণ সেখানে আগত ভক্তের ঢল। এদিন সেটাই অমিল। ফলে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে মন্দির থেকে বার করে তাঁদের রথে তাঁদের বসিয়ে অন্যান্য রীতিনীতি মানতে দেরি হয়নি। ঘড়ির কাঁটা বেলা ১২টা পার করতেই বলভদ্রের রথের রশিতে টান পড়ে। রশি টানেন সেবায়েতরাই।

জগন্নাথদেবের রথের নাম নন্দীঘোষ। উচ্চতা ৪৫ ফুট। বলরামের নীলবর্ণের রথের শীর্ষভাগে তালচিহ্নের কারণে রথের নাম হয়েছে তালধ্বজ। উচ্চতা ৪৭ ফুট। সুভদ্রার রথ দেবীদলন বা দেবীরথ নামেই পরিচিত। উচ্চতায় ৪৩ ফুট।

এক এক করে ৩টি রথের রশিতেই টান পড়ে। ফাঁকা রাস্তা ধরেই এগিয়ে চলে রথ। প্রথমে বলভদ্রের রথে টান পড়ে। তারপর সুভদ্রা ও তারপর জগন্নাথদেবের রথে টান পড়ে।

তবে যে গ্র্যান্ড রোড ধরে ৩ কিলোমিটার পথ পার করে গুন্ডিচা মন্দিরে জগন্নাথদেব যান সেই রাস্তায় লক্ষ লক্ষ মানুষের হেঁটে চলা এদিন ছিল গত বছরের মতই অমিল। ফলে রথের চাকা দ্রুত ঘুরেছে।

পুরীতে ভক্তরা হাজির হতে না পারলেও দেশ বিদেশের মানুষ টিভির পর্দায় পুরো রথযাত্রাই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চাক্ষুষ করেছেন প্রাণভরে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article
Back to top button