National

ভক্তদের জন্য পুরীর শ্রী জগন্নাথ দর্শনের সুযোগ বাড়ল

করোনার জেরে বন্ধ থাকার পর ফের পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দিরের দরজা খুলে গিয়েছিল গত অগাস্ট মাসে। ভক্তদের দর্শন সুবিধা আরও বাড়ল সেপ্টেম্বরে।

গত অগাস্ট মাসে খুলে গিয়েছিল পুরীর মন্দিরের দরজা। ধাপে ধাপে সকলের জন্য খুলে যাওয়ার পরও প্রতি সপ্তাহের শনি ও রবিবার বন্ধ থাকছিল মন্দিরের দরজা। ওড়িশা জুড়ে এতদিন শনি ও রবিবার শাটডাউন পালিত হচ্ছিল। সেই শাটডাউন তুলে নিল ওড়িশা সরকার।

আর তা তুলে নেওয়ার পরই পুরীর মন্দিরের দরজা শনিবারও খুলে গেল ভক্তদের জন্য। এখন থেকে শনিবারও ভক্তরা প্রবেশ করতে পারবেন মন্দিরে।

ফলে সপ্তাহে আর ৫ দিন নয়, ৬ দিনই মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি মিলল। গত বুধবার মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে শনিবারও খুলে রাখার বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে।

তবে রবিবার দিন বন্ধ থাকবে মন্দির। মন্দির চত্বর স্যানিটাইজ করার জন্য ওইদিন ভক্তদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকছে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর থেকে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সাধারণ মানুষ ও ভক্তদের জন্য। কেবল সেবায়েতরা নিত্য সেবার জন্য মন্দিরে প্রবেশ করছিলেন।

সেভাবেই সেবায়েত ও মন্দির কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে পালিত হয় রথযাত্রা। তখনও সাধারণ মানুষ দর্শনের অধিকার পাননি। অবশেষে সেই প্রতীক্ষার অবসান হয়।

গত ২৪ এপ্রিল বন্ধ হয়েছিল পুরীর মন্দিরের দরজা। তারপর তা খোলে গত ১২ অগাস্ট। তবে কেবলমাত্র সেবায়েতদের পরিবারের লোকজনই প্রবেশ করতে পারছিলেন মন্দিরে।

গত ১৬ অগাস্ট থেকে মন্দিরে প্রবেশের সুযোগ পান পুরী পুরসভার বাসিন্দারা। ২৩ অগাস্ট থেকে পুরীর মন্দিরের দরজা সর্বসাধারণের জন্য খুলে যায়।

মন্দিরের দরজা খুলে গেলেও রয়েছে একগুচ্ছ শর্ত। মন্দিরে প্রবেশ করতে গেলে মুখে মাস্ক থাকতে হবে। সঙ্গে থাকতে হবে সচিত্র পরিচয়পত্র। সেইসঙ্গে করোনা প্রতিষেধক টিকার ২টি ডোজ গ্রহণের সার্টিফিকেট অথবা ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে করা করোনার আরটি-পিসিআর রিপোর্ট থাকতে হবে।

রিপোর্ট নেগেটিভ হতে হবে। পলিথিন ব্যাগ নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করা যাবে না। মন্দির সকাল ৭টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত সাধারণের জন্য খোলা থাকছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *