National

হাথরাসে নির্যাতিতার মাকে জড়িয়ে ধরলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

অবশেষে হাথরাস কাণ্ডে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে হাথরাসের নির্যাতিতার বাড়িতে যেতে দিল পুলিশ।

হাথরাস : অবশেষে হাথরাসের নির্যাতিতার বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছতে পারলেন রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। গত বৃহস্পতিবার তাঁদের বাড়ির ধারে কাছেও যেতে দেয়নি পুলিশ। শনিবার ফের ওই নির্যাতিতার গ্রামে যাওয়ার জন্য দিল্লি থেকে বার হন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা।

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী গাড়িতে ওঠার সময় সাংবাদিকদের বলে যান যে এদিন পুলিশ তাঁকে ঢুকতে না দিলেও তিনি যে ভাবে হোক নির্যাতিতার বাড়িতে পৌঁছবেন। এরপর নিজেই গাড়ি চালিয়ে দাদাকে পাশে বসিয়ে রওনা দেন প্রিয়াঙ্কা।

এদিন কংগ্রেসের অন্য নেতারাও তাঁদের সঙ্গে যান। নয়ডার কাছে ডিএনডি ফ্লাইওয়েতে তাঁদের পথ আটকায় পুলিশ। তারপর মাত্র ৫ জনকে যেতে অনুমতি দেয়। যার মধ্যে ছিলেন রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, রণদীপ সূরজেওয়ালা, গুলাম নবি আজাদ ও কেসি বেণুগোপাল।

বাকি নেতাদের ফ্লাইওভারেই আটকে দেওয়া হয়। এদিন ডিএনডি ফ্লাইওয়েতে পুলিশি তৎপরতায় প্রবল যানজটের সৃষ্টি হয়। ভুগতে হয় সাধারণ মানুষকে।


হাথরাসে নির্যাতিতার বাড়িতে পৌঁছে রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কথা বলেন পরিবারের সঙ্গে। নির্যাতিতার মাকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। রাহুল-প্রিয়াঙ্কাকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারে লোকজন।

রাহুল গান্ধীদের বসার জন্য জেলা প্রশাসনের তরফে একটি ম্যাটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। কিন্তু রাহুল এদিন অন্য একটি ঘরে নির্যাতিতার বাবা ও ভাইদের নিয়ে ঢুকে দরজা বন্ধ করে কথা বলেন।

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী অবশ্য নির্যাতিতার মায়ের কাছেই ছিলেন। তাঁকে কথা দেন এই অবস্থায় পরিবারের পাশে কংগ্রেস আছে। ওই বাড়িতে ১৫ মিনিট কাটান রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা।

শনিবার সকালেই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি ও অতিরিক্ত মুখ্যসচিব। দোষীদের উপযুক্ত সাজা দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করে আসেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত গত বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী হেঁটেই ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করলে তাঁদের পথ আটকায় পুলিশ। রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন পুলিশকর্মীরা। পরে রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে আটকও করা হয়।

গত শুক্রবার তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকেও হাথরাসের পরিবারের ধারেকাছে যেতে দেওয়া হয়নি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button