Sports

রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে স্বপ্নের জয় ভারতের

৬ বলে ৮ রান। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৮ রান তোলাটা খুব কঠিন কাজ নয়। তার চেয়েও অনেক বেশি রান তুলে শেষ ওভারে ম্যাচ জেতার অনেক ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু বল বুমরাহর হাতে থাকাটাই ফ্যাক্টর হয়ে গেল ইংল্যান্ডের কাছে। শেষ ওভারে মাত্র ২ রান দিয়ে ১টা উইকেট তুলে নেন ভারতের এই তরুণ বোলার। সেইসঙ্গে ভারতকে একটা সুন্দর জয় উপহার দেন। শুধু ম্যাচ জেতাই নয়, টি-২০ সিরিজে ১-১ করে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচকে উত্তেজনার চরমে নিয়ে গেল বিরাটের ছেলেরা। এদিনও টস জিতে ফিল্ডিং নেয় ইংল্যান্ড। এবারও ব্রিটিশ বোলিং আক্রমণের সামনে ভারত একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে। কিন্তু এদিন অনেকটা সফল কে এল রাহুল। যখন দলের পরপর উইকেট পড়ছে তখন একদিক ধরে রেখে রানের গতি কমতে দেননি তিনি। করেন ৭১ রান। রাহুল ছাড়া ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি ২১ রান ও মণীশ পাণ্ডে ৩০ রান করলেও বাকিরা কেউই ২ অঙ্কের রান ছুঁতে পারেননি। ফল ভারতের দুর্বল সর্বশেষ স্কোর। ১৪৪ রান করে শেষ হয়ে যায় ভারতের ২০ ওভার। ১৪৫ রানের আপাত সহজ ও গত টি-২০-র মত প্রায় একই রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা বেশ ঝোড়ো‌ই করেন রয় ও বিলিং। চাহলের এক ওভারে পরপর দুটি ছক্কা মেরে কম রানের লক্ষ্যকে আরও কম রানে এনে দেন তাঁরা। ঠিক এই অবস্থায় পরপর ২ জনে আউট হয়ে ভারতকে কিছুটা খেলায় ফিরতে সাহায্য করেন। কিন্তু পরে রুট ও মর্গান জুটি ফের হাল ধরে খেলা ইংল্যান্ডের পক্ষে নিয়ে যেতে থাকেন। একসময়ে যখন ৪ ওভার বাকি থাকতে নেহেরা ও বুমরাহ বল করেত আসেন তখন ম্যাচ প্রায় ইংল্যান্ডের পকেটে। আর এখান থেকেই খেলার মোড় ঘুরতে শুরু করে। একদিকে নেহেরার বিশাল অভিজ্ঞতার ঝুলি আর অন্যদিকে বুমরাহর তরুণ খিদে। এই দুইয়ের যুগলবন্দি রান বেঁধে দিয়ে ইংল্যান্ডকে রান করার জন্য অধৈর্য করে তোলে। ফলে ভুল শট। আর তাতে হিতে বিপরীত হয়ে উইকেট পড়তে শুরু করে ইংল্যান্ডের। ১৯ তম ওভারে তখন আবার খেলা ভারতের পক্ষে বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু শুরুতে উইকেট নিয়েও পরে একটা ৪ ও একটা ৬ খেয়ে ফের ইংল্যান্ডকে খেলায় ফিরিয়ে দেন নেহেরাই। অবশেষে বুমরাহর সেই রুদ্ধশ্বাস ওভার। ৬ বলে ৮ রান করতে হবে এই অবস্থা থেকে ৫ রানে হার স্বীকার করতে হয় ইংল্যান্ডকে। খুব স্বাভাবিকভাবেই যশপ্রীত বুমরাহ প্লেয়ার অফ দ্যা ম্যাচ। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন কে এল রাহুল। তৃতীয় ও সিরিজের শেষ একদিনের ম্যাচ সরস্বতী পুজোর দিন বেঙ্গালুরুতে।


 



Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button