World

শহর ছাড়তে সব গয়না চালকের হাতে তুলে দিলেন মহিলা

তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে গাড়ি করে পৌঁছে দিতে হবে অন্য শহরে। শুধু এই কাজের জন্য তাঁর সব গয়না গাড়ির চালকের হাতে তুলে দিলেন মহিলা।

হাতে আর সময় নেই। পরিবার নিয়ে পালাতে হবে অন্য শহরে। শহর ছাড়তেই হবে। রাতের অন্ধকারেই ছাড়তে হবে শহর। কিন্তু উপায় কী? কীভাবে পালাবেন শহর ছেড়ে? অবশেষে মিলল রাস্তা।

এক গাড়ির চালককে কোনওক্রমে রাজি করানো গেল। কিন্তু কেন গাড়ির চালক এত বড় ঝুঁকি নিয়ে তাঁদের পৌঁছতে যাবেন অন্য শহরে?


চালক যাতে রাজি হন সেজন্য ওই পরিবারের এক মহিলা তাঁর বাড়িতে থাকা সব গয়না তুলে দেন চালকের হাতে। এগুলো বিক্রি করলে যথেষ্ট অর্থ পাবেন ওই চালক।

একটি শহর থেকে অন্য শহরে নিয়ে যাওয়ার জন্য এমন অর্থ তাঁকে কেউ দেবেনা। চালকও সেটা বিলক্ষণ বুঝতে পারেন। লোভ ছাড়তে পারেননি তিনি। ফলে পরিবারটিকে নিয়ে যেতে রাজি হন তিনি।


সময় নষ্ট না করে বাড়িঘর সব ছেড়ে পরিবারের মানুষগুলো চড়ে বসেন ওই গাড়িতে। গাড়ি পাড়ি দেয় কুন্দুজ শহর ছেড়ে কাবুলের দিকে।

রাতেই কাবুল পৌঁছে যান তাঁরা। বাড়িতে যা সামান্য পয়সাকড়ি ছিল তাই নিয়েই প্রাণ বাঁচিয়ে কাবুলে হাজির হয় পরিবারটি। তাদের নামিয়ে দিয়ে চলে যান চালক।

কাবুলের রাতের ফাঁকা রাস্তায় খোলা আকাশের নিচে ঠাঁই হয় পরিবারের। রাস্তায় রাত কাটাতে হলেও অনেকটা যেন মন থেকে নিশ্চিন্ত অনুভব করেন তাঁরা। হয়তো এ যাত্রায় প্রাণটা বেঁচে গেল।

এটা একটি পরিবারের কাহিনি মাত্র। কিন্তু কুন্দুজ, তখর, বাদাকস্তান সহ আফগানিস্তানের বিভিন্ন শহর গ্রাম থেকেই এভাবে নিঃস্ব হয়ে সব ছেড়ে প্রাণ বাঁচাতে পালাচ্ছে বিভিন্ন পরিবার। অনেকেই চেষ্টা করছেন কাবুলে পৌঁছতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button