World

ফের আত্মঘাতী হানা, মৃত ৩০ জন সেনা

আত্মঘাতী হানায় মৃত্যু হল ৩০ জন সেনাকর্মীর। আহত হয়েছেন ২৪ জন। ফের সেনাকে লক্ষ্য করে ঘটল এমন ভয়ংকর সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা।

কাবুল : সেনা শিবিরের পাশেই রাখা ছিল একটি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি। গাড়িটি সেনার। সেনাকর্মীরাই সেটা রেখেছিলেন। আচমকাই দেখা যায় সেই গাড়ির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এক আত্মঘাতী জঙ্গি।


বিস্ফোরক তো বোঝাই করাই ছিল। দরকার ছিল একটি স্ফুলিঙ্গের। যেটা করে দেয় ওই আত্মঘাতী জঙ্গি। সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ হয়। তীব্র বিস্ফোরণে চারধার কেঁপে ওঠে। ওই জঙ্গি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আত্মঘাতী জঙ্গি হিসাবে সে বড় ক্ষতি করে দিয়ে যায়।

এই বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে সেনা শিবিরের বড় ক্ষতি হয়েছে। আশপাশে থাকা ৩০ জন সেনাকর্মীর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। ২৪ জন সেনাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।



আফগান সেনার তরফেই জানানো হয়েছে এঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তেই পারে। অনেকের শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ছিন্ন হয়ে শরীর থেকে আলাদা হয়ে যায়।

বিস্ফোরণের পরই ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। সেনাকর্মীরাও হাত লাগান। চারধারে তখন পোড়া বারুদের গন্ধ, মানুষের আর্ত চিৎকার, যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকা সেনাকর্মীরা এধার ওধারে পড়ে, চারপাশ রক্তে ভেসে যাচ্ছে। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে আফগানিস্তানের গজনী শহরে।

আফগানিস্তানে এখন সন্ত্রাসবাদী হামলা বেড়েই চলেছে। এদিনের ঘটনার দায় কোনও সংগঠন স্বীকার করেনি। তবে স্থানীয় প্রশাসনের দৃঢ় ধারণা এর পিছনে তালিবানের হাত রয়েছে।

সেনা শিবিরে সে সময় আফগান ন্যাশনাল আর্মি-র সেনারা ছিলেন। গজনী প্রদেশটা পাহাড়ে ঘেরা এলাকা। এই এলাকায় তালিবানের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই সেনার সংঘর্ষ হচ্ছে। তালিবানরা চাইছে গজনীতে তাদের আরও শক্তি বৃদ্ধি করতে। যা রুখতে মরিয়া সরকার। সেনা তাদের এলাকা দখল করতে দিচ্ছেনা।

বরং যেসব এলাকায় তালিবান তাদের আধিপত্য তৈরি করেছিল, সেখান থেকে তাদের হটিয়ে সেনা নিজের দখলে নিচ্ছিল। অন্যদিকে গজনীর পার্বত্য এলাকায় তালিবানও তাদরে শক্তি সুসংহত রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button