State

চাহিদা তুঙ্গে, শিল্পীদের মরা গাঙে বান এনেছে দিওয়ালী পুতুল

চাহিদা এখন তুঙ্গে। ফলে এই বিরল শিল্পের সঙ্গে যুক্ত পটুয়াদের মুখে হাসি ফুটেছে। ব্যস্ততা যেমন বেড়েছে, মনজুড়ে আনন্দও তেমন বেড়েছে।

মন ভাল ছিলনা কিছু বছর আগেও। তাঁদের শিল্পকর্ম বিক্রি হচ্ছিল না। সারা বছর এই দিওয়ালীর দিকে তাকিয়ে বসে থাকা। সে সময়ই বিক্রিবাটা না হলে সংসার চলে কি করে?

সেই কষ্ট বুকে করেই শিল্পটা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন তাঁরা। মানুষের পরিবর্তনশীল রুচি তাঁদের শিল্পকে ফের চাঙ্গা করেছে গত কয়েক বছরে। তলানিতে ঠেকা শিল্পটা তরতর করে বেড়ে উঠছে। চাহিদা বাড়ছে হুহু করে।

এমনকি এখন তো যোগান দিতে রাত দিন এক করে নাওয়াখাওয়া ভুলে কাজ করে চলেছেন পরিবারের সব বয়সের মানুষ। এটাই এখন মেদিনীপুরের বিখ্যাত দিওয়ালী পুতুল শিল্পীদের রোজনামচা। দিওয়ালীর আগে দম ফেলার ফুরসত নেই। চাহিদা মত যোগান দিতে বাড়ির ছোটরাও হাত লাগাচ্ছে বড়দের সঙ্গে।

দিওয়ালী পুতুল আর মেদিনীপুরকে আলাদা করা কঠিন। বলা হয় ২০০ বছরেরও পুরনো এই দিওয়ালী পুতুল তৈরির রেওয়াজ। দিওয়ালীর আগে মেদিনীপুরের কুমোরপাড়ায় ব্যস্ততা তুঙ্গে ওঠে। ঘরে ঘরে তৈরি হয় দিওয়ালী পুতুল। কুমোররা ব্যস্ত থাকেন যোগান দিতে।


এখন ঝাড়গ্রামেও দিওয়ালী পুতুল তৈরি হয়। তবে দিওয়ালী পুতুলকে বিখ্যাত করে তাকে বাংলার অংশ করে তুলেছে মেদিনীপুর। মাঝে একেবারেই কমে গিয়েছিল চাহিদা। এখন সেই পরিস্থিতি আর নেই। এখন চাহিদা তুঙ্গে। তাই খুশি শিল্পীরাও।

দিওয়ালী পুতুলে একসঙ্গে অনেকগুলি মাটির প্রদীপ জ্বালানোর সুযোগ থাকে। এক নারীর হাতে ধরা থাকে অনেক প্রদীপ। সেটাই বিভিন্নভাবে সেজে ওঠে। মেদিনীপুরের এই সুপ্রাচীন শিল্প যে এখন প্রাণ ফিরে পেয়েছে এটা রাজ্যবাসীর জন্যও আনন্দের।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button