State

চোখের জলে ঘরের ছেলেকে শেষ বিদায় জানাল মহম্মদবাজার

শুক্রবার বীরভূমের মহম্মদবাজারে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় শহিদ জওয়ান রাজেশ ওঁরাওয়ের। ছিল অগুন্তি মানুষের ভিড়।

কলকাতা : চারিদিকে করোনা আবহ। অনেকেই প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বার হচ্ছেন না। কিন্তু ঘরের ছেলেটার নিথর দেহ ঘরে ফিরতে আর স্থির থাকতে পারেননি বীরভূমের মহম্মদবাজারের মানুষজন। হাজারে হাজারে মানুষ সকাল থেকেই ভিড় জমান বেলগড়িয়া গ্রামে। এরমধ্যেই দেশের জাতীয় পতাকায় মোড়া কফিনটা এনে রাখেন সেনা জওয়ানরা। রাজেশের পরিবারে তখন শুধুই কান্নার রোল। অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজেশের বাবা-মা। রাজেশের কফিনটা এনে রাখার পর হাজার হাজার মানুষের জমায়েতেরও চোখের জল বাধ মানেনি। বহু মানুষকে চুপ করে দাঁড়িয়ে কাঁদতে দেখা গেছে।

পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় রাজেশ ওঁরাওয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় বেলগড়িয়া গ্রামে। দেশের বীর জওয়ানকে শেষ শ্রদ্ধা জানান অনেকেই। অনেক রাজনৈতিক নেতাও উপস্থিত ছিলেন। গান স্যালুটে শেষ বিদায় জানানো হয় গত সোমবার লাদাখ সীমান্তে চিনা সেনার আগ্রাসন রুখতে বীরের মত লড়াই করা ভারতীয় সেনা জওয়ান রাজেশকে। ২০ জন জওয়ান সেদিন শহিদ হন চিনা সেনার অতর্কিত হামলায়। তার মধ্যেই রয়েছেন এ রাজ্যের ২ জন। রাজেশ ওঁরাও এবং বিপুল রায়।

শুক্রবার সকালে পানাগড় বিমানঘাঁটি থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে রাজেশ ওঁরাওয়ের বেলগড়িয়া গ্রামে কফিনবন্দি মরদেহ নিয়ে আসে সেনা। ফুল আর মালায় ভরিয়ে দেওয়া হয় তাঁর কফিন। ছেলের দেহ আসতে দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন রাজেশের মা। রাজেশের বোনকে দেখা যায় তাঁকে সামলাতে। কান্না সামলাতে পারেনি গোটা গ্রাম। রাজেশের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা সাহায্য ও পরিবারের একজনের চাকরি দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *