State

পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল তোলাকে কেন্দ্র করে অশান্ত শান্তিনিকেতন

শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা প্রাঙ্গণকে পাঁচিল দিয়ে ঘেরার প্রতিবাদের রূপ হল ভয়ানক।

কলকাতা : পৌষ মেলা এবার করোনার কারণে হবে না। তা আগেই জানিয়ে দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। গত শনিবার থেকে শুরু হয়েছিল পৌষ মেলা যে মাঠে হয় সেই মাঠে পাঁচিল তোলার কাজ। যার প্রতিবাদ তখনই হয়েছিল স্থানীয়দের তরফে। রবিবার সেই প্রতিবাদ আরও চড়া হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের একাংশ এই প্রতিবাদে শামিল হন। টানা ২ দিন প্রতিবাদের মুখে পড়ার পর সোমবার সকালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সুরক্ষাকর্মীদের নিয়ে মাঠে হাজির হন। তারপর তাঁর উপস্থিতিতে শুরু হয় পাঁচিল নির্মাণের কাজ।

ফের পাঁচিল তোলার কাজ শুরু হয়েছে একথা জানতে পেরে সেখানে হাজির হন বহু মানুষ। তারপর শুরু হয় পাঁচিল তোলার প্রতিবাদ। ফের অশান্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বিক্ষুব্ধ জনতা বিশ্বভারতীর অস্থায়ী অফিসে ভাঙচুর চালান। ভেঙে দেওয়া হয় বিশ্বভারতীর একটি ফটক। জেসিবি মেশিন দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। বিশ্বভারতীর মধ্যেও ভাঙচুর হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় মানুষের ক্ষোভ কিন্তু সবচেয়ে বেশি উপাচার্যের বিরুদ্ধেই। তাঁদের মতে, উপাচার্যকে আগেই এভাবে মাঠ পাঁচিল দিয়ে না ঘেরার কথা বলা হলেও তিনি কর্ণপাত করেননি।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল তোলাকে কেন্দ্র করে বোলপুরের একাংশের মানুষের মধ্যে যেমন প্রবল ক্ষোভ রয়েছে তেমনই ক্ষোভ রয়েছে বিশ্বভারতীর অন্দরেও। ছাত্রছাত্রীদের একাংশও কিন্তু এই পাঁচিল নির্মাণকে ভাল চোখে নিচ্ছেন না। ফলে ঘরে বাইরে এবার চাপের মুখে পড়ে গেল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এদিকে এদিনের অশান্তির জেরে বিশ্বভারতী আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর এদিনের অশান্তি নিয়ে ট্যুইট করেন। পরে তিনি জানান মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন। কদিন আগেই হলকর্ষণ উৎসব উপলক্ষে বিশ্বভারতীতে হাজির হন রাজ্যপাল। সেখানে জমিতে মাটি ও জল ছড়িয়ে দেন। তারপর এমন কাণ্ড।

পৌষ মেলার মাঠ ঘিরে বিশ্বভারতীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন অনেকে। অনেকের দাবি পৌষ মেলা ও বসন্ত উৎসব বন্ধ করার জন্যই পাঁচিল দেওয়া হচ্ছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়ে জানান, সবসময় নির্মাণ কাজ সৌন্দর্য বাড়ায় না। কবিগুরু রাঙা মাটির পথের কথা বলেছেন বলে জানিয়ে তিনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা বলেন।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *