National

পাহাড়ে ধস নামতেই বেরিয়ে এল অনেক করোটি ও হাড়

বর্ষাকালে পাহাড়ি এলাকায় ধস নামা নতুন কিছু নয়। সেই ধস নামার পর এবার তার তলা থেকে বেরিয়ে এল প্রচুর করোটি ও হাড়।

আইজল : একটানা বৃষ্টি চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। পাহাড় আর গহন অরণ্যে ঘেরা এলাকা। পাহাড়ের গায়ের মাটি টানা বৃষ্টিতে আলগা হয়ে ধস নামা এখানকার মানুষের কাছে নতুন কিছু নয়। তবে রাস্তার ওপর তা এসে পড়লে তখন রাস্তা সাফ করতে হয় দ্রুত। তেমনই বর্ষার জেরে নেমেছিল ধস। পশ্চিম মিজোরামের মামিট জেলার পাহাড়ি এলাকায়। যার জেরে রাস্তাও বন্ধ হয়ে যায়। বিশাল ধ্বংসস্তূপ সরাতে এসে চোখ কপালে ওঠে সকলের। মাটি সরাতে গিয়ে এক এক করে বেরিয়ে আসতে থাকে মানুষের করোটি আর হাড়। যা সকলের হাড় হিম করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল।

ধসের মাটি সরানো তখন গৌণ হয়ে পড়েছে। স্থানীয় মানুষও এই হাড়ের খবর পেয়ে ছুটে আসেন। মাটির মধ্যে থেকে এক এক করে হাড় জড়ো করা শুরু হয়। আলাদা করে রাখা হয় করোটিগুলি। আশপাশেও খুঁজে দেখা হয় মাটির নিচে এমন কোনও হাড়ের সন্ধান মেলে কিনা। সব মিলিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে পরিমাণ হাড় পাওয়া গিয়েছে তা ১২ থেকে ১৩ জন মানুষের হাড় বলে তাঁদের মনে হচ্ছে। হাড় ও করোটি উদ্ধার করে তা আইজলে ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

এমন এক দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় এত মানুষকে মাটির তলায় কেন পোঁতা হল? উত্তর এখনও পরিস্কার নয়। এটাও পরিস্কার নয় যে হাড়গুলি কত পুরনো। তবে মাটিতে গর্ত করে দেহ যে রাখা ছিল তা বিশেষজ্ঞদের কাছে পরিস্কার। সেই গর্ত জাতীয় খোঁদলের সন্ধান তাঁরা সেখানে পেয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ের গায়ে মাটির নিচে সেগুলি পড়েছিল। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

কতটা পুরনো হতে পারে এই হাড়গুলি? এক পুলিশ আধিকারিক দাবি করেছেন হাড়গুলি কয়েক শতাব্দী পুরনো। তবে তা নিশ্চিত হবে পরীক্ষার পরই। উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্য মিজোরাম ২টি প্রতিবেশি দেশ মায়ানমার ও বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সীমান্ত ভাগ করেছে। মায়ানমারের সঙ্গে ৪০৪ কিলোমিটার ও বাংলাদেশের সঙ্গে ৩১৮ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে মিজোরামের। মিজোরাম ও মায়ানমার সীমান্তের আবার অধিকাংশ জায়গাতেই কোনও বেড়া দেওয়া নেই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *