![House](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2017/11/astro-tips-6.jpg)
ভারতে গাড়ি ও বাড়ির ঋণ এখন আমজনতা সবচেয়ে বেশি নিয়ে থাকেন। যে হারে আবাসন উঠছে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে না হলেও মানুষের ফ্ল্যাট কেনার প্রবণতা বেড়েছে। অনেকেই এখন শহরে কাজের জন্য চলে আসছেন। তাই এখানে থাকার জন্য তাঁদের ফ্ল্যাট দরকার পড়ছে। সেই ফ্ল্যাট কিনতে হলে তাঁদের ব্যাঙ্ক থেকে ঋণই ভরসা। এদিন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বাজেট প্রস্তাবে জানান, ৪৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দামের বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনলে ঋণগ্রহীতা তাঁর সুদের ওপর সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড়া পাবেন। এতদিন এই সীমা ছিল ২ লক্ষ টাকা। তা এদিন এক ধাক্কায় দেড় লক্ষ টাকা বাড়িয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এতে আমজনতার বেশ কিছুটা সুবিধা হল।
দামি ফ্ল্যাটও বিভিন্ন শহরে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে। সেসব ফ্ল্যাট কিনতেও বহু মানুষ ভিড় করছেন। তবে সেসব ফ্ল্যাট যাঁরা কিনতে চাইছেন তাঁদের মোটা অঙ্কর রোজগার রয়েছে। ফলে তাঁদের ক্ষেত্রে কোনও ছাড়ের ঘোষণা অর্থমন্ত্রী সীতারমন করেননি। কেবল মাত্র ৪৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বাড়ি বা ফ্ল্যাটের দামের ওপরই মিলবে সুদে সুবিধা। তবে এই সুবিধা আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত বহাল থাকবে। তারপর এই সুবিধা চালু রাখা হবে, নাকি এতে পরিবর্তন আনা হবে তা ঠিক হবে আগামী বাজেটে।
এদিকে কর্মসংস্থান নিয়ে আলাদা করে কোনও ঘোষণা বাজেটে না থাকলেও এদিন বাজেট পেশে স্টার্টআপে জোর দেওয়া হয়েছে। স্টার্টআপ-এর ক্ষেত্রে রিটার্নে কেবল রাখা হয়েছে ই-স্ক্রুটিনি। যে ফান্ড তাঁরা তুলবেন তাতে আয়কর দফতরের স্ক্রুটিনির দরকার পড়বে না। ইলেকট্রনিক ভেরিফিকেশনেই ধরা পড়বে কে এই অর্থলগ্নি করলেন, তাঁর বিস্তারিত তথ্য। যদি ক্ষতির মুখেও পড়তে হয় তবে তার ক্ষেত্রে অনেক সরল সুবিধার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে বলে বাজেটে জানান অর্থমন্ত্রী। তাই ব্যবসায় ক্ষতির মুখে পড়লেও আতঙ্কিত হওয়ার হয়তো কোনও কারণ রইল না স্টার্টআপের ক্ষেত্রে।