World

সুনসান উপকূলে হাজির বিরল কচ্ছপ, হাঙর

সমুদ্র উপকূলে দেখা মিলল বিরল প্রজাতির তালিকাভুক্ত রীফ হাঙর ও সামুদ্রিক কচ্ছপের

বিশ্বের অধিকাংশ সমুদ্রতটে মূলত ভিড় জমান পর্যটকরা। কোথাও বেশি কোথাও কম। কিন্তু ভিড় হয়। সমুদ্রে স্নান করা থেকে রৌদ্রস্নান, সমুদ্রের ওপর নানা খেলা হোক বা রাইড। পর্যটকেরা নিজেদের মত করে ছুটিটা উপভোগ করেন সোনালি বালুতটে, নীল সমুদ্রের শ্বেতশুভ্র ফেনার ঢেউয়ের তালে।

বিশ্বের যে সমুদ্রতটগুলিতে পর্যটকদের ভিড় সারা বছরই লেগে থাকে, তাঁরা ভিড় জমান, তার মধ্যে পড়ে থাইল্যান্ডের কিছু সমুদ্র সৈকত। সমুদ্রের ওপর অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস থেকে শুরু করে জলের ওপর নৌকায় ভেসে পড়া। সমুদ্রে স্নান করা। সবেতেই মেতে থাকেন পর্যটকরা। তাতে কিছু মানুষের জীবন জীবিকা নির্বাহ যেমন হয়, তেমনই পর্যটন ক্ষেত্র হিসাবে একটা বিরাট অর্থনীতি এখানে কাজ করে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

সেসব এখন লাটে উঠেছে। করোনার জন্য সব সমুদ্রতট খাঁখাঁ করছে। মানুষ লকডাউনে গৃহবন্দি। এই পরিস্থিতিতে প্রকৃতিকে কিছুটা নিজেদের মত করে পেয়েছে প্রাণিকুল। যারমধ্যে অবশ্যই সামুদ্রিক প্রাণিরা রয়েছে।

চাইলেও সামুদ্রিক বহু প্রাণিই সমুদ্রতটের দিকে আসতে চায়না মানুষের ভয়ে। কিন্তু এভাবে দিনের পর দিন সুনসান সমুদ্র তাদের মনে ভরসা জাগিয়েছে। তাদের হয়তো মনে হচ্ছে মানব জাতিটা হয়তো এখানে আর ফিরবে না। ফলে খাবারের খোঁজে তারা সমুদ্রে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। চলে আসছে সমুদ্রতটের কাছাকাছি। উপকূলের কাছে দেখা মিলছে তাদের। যেমনটা মিলল থাই উপকূলে। বিরল প্রজাতির তালিকাভুক্ত রীফ হাঙর ও সামুদ্রিক কচ্ছপের দেখা মিলল এখানে। এছাড়াও অনেক ডলফিনকে দেখা গেছে নিজেদের মত ভেসে বেড়াতে।

শুধু থাইল্যান্ড উপকূল বলেই নয়, বিশ্বের নানা প্রান্তের সমুদ্রতটেই দেখা মিলছে অদেখা বা অল্প দেখা মেলা সামুদ্রিক প্রাণির। সে কচ্ছপ হতে পারে বা কোনও মাছ। আবার সমুদ্রের ধারেকাছে ভেসে বেড়ানো নানা পাখিও হাজির হচ্ছে সমুদ্রতটে। সেখানে রীতিমত বসতি তৈরি শুরু করেছে তারা। যেমনটা হয়েছে পেরুর কিছু সমুদ্রতটে। সেখানে এমন অনেক পাখির দেখা মিলেছে যাদের বড় একটা এসব সমুদ্রতটে দেখাই যায়না। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *