Entertainment

কেটে গেল শেষ রাতটাও, আর ‘ভাগ্য’-য় ফেরা হবেনা সংসারের লক্ষ্মী শ্রী-র

মঙ্গলবার রাতে সুদূর দুবাই থেকে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। নিজের বাড়ি। নিজের আঙিনা। নিজের সংসারে। তবে পায়ে হেঁটে বা গাড়িতে নয়। কফিনে বন্দি অবস্থায়। এই রাতটাই তাঁর সকলের সঙ্গে নিজের বাড়িতে শেষ রাত। বুধবার সন্ধে নামার আগেই পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যাবেন তিনি। স্বামী, কন্যা, সংসার, ভাগ্য নামক তাঁর স্মৃতি বিজড়িত বাংলো সব থাকবে পড়ে। শুধু তিনি থাকবেননা। তবে তার আগে রাত যত গভীর হয়েছে ততই ভাগ্য বাংলোয় একের পর এক ঢুকেছে গাড়ি। বাংলো সাজানো হয়েছিল সাদা রঙের ফুল আসবাব দিয়ে। শ্রীদেবীর শেষ ইচ্ছা মেনে। সেই সাদার মাঝেই শুয়ে চাঁদের আলো ছড়িয়েছেন চাঁদনি। তাঁর সেই রানির মত রূপ যেন রাতটাকে আলো করে দিচ্ছিল। পাঁচিলের ওপাশে থমথম করছে পরিবেশ। শোকের আবহ।

এভাবেই রাত কাটার পর বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় শ্রীদেবীর দেহ ‘ভাগ্য’ থেকে নিয়ে যাওয়া হবে কাছের লোখান্ডওয়ালার সেলিব্রেশন স্পোর্টস ক্লাবের প্রাঙ্গণে। সেখানেই সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শায়িত থাকবে দেহ। সকলে সেখানেই শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন তাঁদের প্রিয় অভিনেত্রীকে। এরপর পরিবারের তরফে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর গাড়ি সাজিয়ে তাঁকে সেখান থেকে দুপুর ২টোর সময়ে নিয়ে যাওয়া হবে ভিলে পার্লের সেবা সমাজ শ্মশানে। সেখানেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। তবে তার আগে তাঁকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হবে। দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ সম্মান পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিতা ছিলেন তিনি। তাই এই রাষ্ট্রীয় সম্মান নিয়মমতোই তাঁর প্রাপ্য। সেই সম্মান জানানোর পর পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যাবে শ্রীদেবীর পার্থিব শরীর। পিছনে পড়ে থাকবে তাঁর জীবনের বহু কাজ।



Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button