World

বরফের চাদরে ঢাকল মরুভূমির বালি

বিশ্বের উষ্ণতম মরুভূমিগুলির মধ্যে সাহারা অন্যতম। যেখানে ৫৮ ডিগ্রি ছোঁয় পারদ। সেখানে হল তুষারপাত। বরফের চাদরে ঢেকে গেল মরুভূমির বরফ।

প্রকৃতি তো কত খেলাই খেলে। যা মানুষকে অবাক করে দেয়। স্কুলে পড়ার সময় সকলেই ভূগোলের পাতায় সাহারা মরুভূমির কথা পড়ে। আর তা থেকে সকলের ওই ছোট বয়সেই স্পষ্ট ধারনা হয় যে সাহারা মরুভূমি মানে এক ভয়ংকর উষ্ণ অঞ্চল। যেখানে গরম এতটাই যে সেখানে মানুষ কেন প্রায় কোনও প্রাণিই বাঁচতে পারেনা।

চারিদিকে শুধু ধুধু বালির প্রান্তর মাইলের পর মাইল চলে গিয়েছে। হিসাব বলছে এখানে ৫৮ ডিগ্রি পর্যন্ত পারদ চড়ে। যেখানে মানুষের টিকে থাকা দুঃসাধ্য। বিশ্বের সেই উষ্ণতম মরুভূমিতেই হল তুষারপাত। বরফের চাদরে ঢেকে গেল বালির প্রান্তর।

বরফের চাদরে ঢেকে যাওয়া সাহারা দেখে গোটা বিশ্ব অবাক হলেও এটা প্রথমবার নয়। সাহারা মরুভূমিতে প্রথমবার তুষারপাত রেকর্ড হয় ১৯৭৯ সালে। সেবার সত্যিই গোটা বিশ্ব হতবাক হয়ে গিয়েছিল।

তারপর দীর্ঘ বছর আর বরফের দেখা মেলেনি। ২০১৬ সালে ফের সাহারায় তুষারপাত হয়। এই ২০১৬ সালের পর থেকে কিন্তু এখন সাহারায় তুষারপাত দেখা যাচ্ছে।

২০১৮ সালে ফের তুষারপাত হয় সেখানে। এরপর তুষারপাত হয় ২০২১ সালে। ফের ২০২২ সালে বরফ পড়ল মরু বালির ওপর।

গত ৪২ বছরে এই প্রথম পরপর ২ বছর তুষারপাত হল সাহারায়। আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কি এবার তাহলে প্রতিবছরই সাহারার উষ্ণ প্রান্তর ঢাকবে তুষারে? এ প্রশ্ন উঠছে।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *