World

সাহারায় শিহরণ, বরফের চাদরে ঢাকল সাহারা মরুভূমি

জটায়ু যদি থাকতেন তাহলে তাঁর মুখ দিয়ে বেরিয়েই আসত সাহারায় শিহরণ। শিহরণ জাগানো খবর তো বটেই। সাহারার মত উষ্ণ মরুভূমিতে তুষারপাত হলে চমকে যেতেই হয়।

আলজিয়ার্স : বিশ্বের সবচেয়ে বড় উষ্ণ মরুভূমির নাম সাহারা। আফ্রিকার উত্তরাংশে অবস্থিত এই মরুভূমির কথা স্কুলে পড়ার সময়ই ছাত্রছাত্রীদের মনে গেঁথে যায়। ৯২ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে শুধুই বালি আর বালি।

না দেখলেও সকলের চোখের সামনে একটাই দৃশ্য ফুটে ওঠে সাহারার কথা বললে। ধূধূ প্রান্তর, শুধু বালি, প্রখর সূর্যের তাপ, চারধারে গাছপালা বলে কিছু নেই, মানুষ তো একেবারেই নেই।


কিছু মরূদ্যানে মানুষ হয়তো কিছু বসবাস করেন। বাকিটা গা পোড়ানো গরম আর শুকনো বালি। যেখানে বৃষ্টিই কষ্টকল্পনার মধ্যে পড়ে। সেখানেই কিনা তুষারপাত!

আঁতকে ওঠার মত কথা হলেও এটাই সত্য। সাহারায় তুষারপাত হয়েছে। আলজেরিয়ার মরুশহর আইন সেফরা সংলগ্ন বিশাল এলাকা জুড়ে সাহারার বালির ওপর পুরু বরফের চাদর পড়েছে। যা গোটা বিশ্বকে চমকিত করেছে।


বিশেষজ্ঞেরা এই চমকপ্রদ ঘটনার জন্য দ্রুত হওয়া জলবায়ু পরিবর্তনকে কাঠগড়ায় চাপিয়েছেন। সাহারার বালির ওপর সাদা বরফের চাদরের ছবি সামনে আসতেই তা ভাইরাল হয়ে গেছে। ধূধূ প্রান্তর ধরে বালির ওপর পড়ে আছে সাদা বরফ। সূর্যের আলোয় যা সোনালি বালির সঙ্গে চকচক করছে।

তুষারপাতের সঙ্গে সঙ্গে পারদও নেমেছে। পারদ নেমেছে মাইনাস ২ ডিগ্রিতে। যেখানে তুষারপাত হয়েছে সেখানে গত ৫০ বছরে এত নিচে নামেনি পারদ।

যদিও সাহারায় তুষারপাত এবারই প্রথম হল না। এর আগেও ৩ বার হয়েছে গত ৩৭ বছরে। ১৯৭৯ সালে সাহারায় তুষারপাত হয়েছিল। সেই চমকের পর আর সাহারায় দীর্ঘদিন তুষারপাত দেখা যায়নি। তারপর তুষারপাত হয় ২০১৬ সালে। আর তারপর ২০১৮ সালে তুষারপাতে সাদা হয় সাহারার বালি। বালির প্রান্তর হারিয়ে যায় তুষারের সাদা আস্তরণের তলায়।

আফ্রিকার উত্তরাংশের অর্ধেকটাই জুড়ে রয়েছে সাহারা মরুভূমি। আফ্রিকা বললেই জঙ্গল বাদে মনে পড়ে প্রখর গরমের কথা। সেই আফ্রিকার সাহারায় যে তুষারপাতও হতে পারে তা না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। বিশেষজ্ঞদের মতে এটাই প্রমাণ করছে কী কঠিন পরিস্থিতি ক্রমশ বিশ্বের জন্য অপেক্ষা করছে এই জলবায়ু পরিবর্তনের হাত ধরে।

Show Full Article
Back to top button