World

চলন্ত ট্রেনে রান্নার সময় ২টি গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ, মৃত ৭৩

ছুটে চলা ট্রেনে অধিকাংশই ছিলেন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিতে চলা মানুষজন। সকালের দিকে তাঁদের কয়েকজন প্রাতরাশ তৈরি করছিলেন ২টি স্টোভ জ্বালিয়ে। ২টিই জ্বলছিল ২টি গ্যাস সিলিন্ডারের জ্বালানিতে। আচমকাই সেই গ্যাস সিলিন্ডার ২টি ফেটে যায়। বিকট শব্দ আর আগুনে হৈচৈ পড়ে যায় ট্রেন জুড়ে। অনেকে প্রাণে বাঁচতে চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ দেন। এদিকে আগুন হুহু করে ছড়িয়ে পড়ে। ট্রেন চলার ফলে হাওয়ার বেগের সঙ্গে আগুন ছড়াতে সময় নেয়নি। ট্রেন যখন থামে ততক্ষণে ৩টি বগি আগুনের গ্রাসে চলে এসেছে। এরমধ্যে ১টি বিজনেস ক্লাস ও ২টি ইকোনমি ক্লাসের বগি। পাক রেলমন্ত্রী একথা জানিয়েছেন।


বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে পাকিস্তানের পূর্ব পঞ্জাব প্রদেশের লিয়াকতপুর এলাকায়। পাকিস্তানের পুরনো ও সুপরিচিত প্যাসেঞ্জার ট্রেন তেজগাম। ট্রেনটি করাচি থেকে রাওয়ালপিন্ডির মধ্যে যাতায়াত করে। এদিন ট্রেনটি করাচি থেকে রাওয়ালপিন্ডির দিকে যাচ্ছিল। সেইসময়েই ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় পুড়ে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। বাকিরা প্রাণে বাঁচার জন্য চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ মারার ফলে মারা যান। এঁদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত কয়েকজনের দেহ শনাক্ত করা গেছে। বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি। এঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তেই পারে।

ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড় জমে যায়। কিন্তু যেভাবে ৩টি কামরা দাউদাউ করে জ্বলছিল তাতে তাঁরা ওই কামরা থেকে কাউকে উদ্ধার করতে পারেননি। অথচ ট্রেনের মধ্যে থেকে তখনও আর্ত চিৎকার ভেসে আসছিল। দমকল দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে সকলকে বার করে আনে। এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা



News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button