প্রেমের টানে বিদেশ থেকে এসে মাসের পর মাস প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় যুবতী
প্রেমের টানে তিনি বাড়িঘর ছেড়ে অন্যদেশ থেকে চলে আসেন। আর এসে শোনেন তাঁকে বিয়ে করতে পারবেননা প্রেমিক। তারপর থেকেই প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় যুবতী।

নাটকীয় পরিস্থিতি ক্রমশ যেন তার ক্লাইম্যাক্স ছুঁয়ে ফেলছে। এক যুবতী তাঁর প্রেমিকের বাড়ির সামনে এসে বসে পড়েছেন। তিনি আবার স্থানীয় কেউ নন। তিনি বিদেশিনী। অন্যদেশ থেকে এসেছেন শুধু প্রেমের টানে। ১৯ বছরের প্রেমিককে বিয়ে করতে চান তিনি।
সেই টানেই গত অক্টোবর মাসে আমেরিকা থেকে পাকিস্তানের করাচিতে হাজির হন ৩৩ বছরের ওনিজা অ্যান্ড্রু রবিনসন নামে ওই যুবতী। এসে শোনেন তাঁর পাকিস্তানি প্রেমিক নিদাল আহমেদ মেমন তাঁকে বিয়ে করতে পারবেননা। কারণ ওই তরুণের বাড়ির এই বিয়েতে মত নেই।
যুবতী সাফ জানিয়ে দেন তাঁকে বিয়ে করতেই হবে। যুবতীর চাপে করাচির গার্ডেন এরিয়া রেসিডেন্সের যে ফ্ল্যাটে নিদালরা থাকতেন সেখানে তালা ঝুলিয়ে অন্যত্র চলে যায় পুরো পরিবার। কিন্তু ওনিজা সেই ফ্ল্যাটেরই নিচে রাস্তায় বসে পড়েন।
সেখানেই ঝর্নায় বসেন তিনি। তিনি এও জানিয়ে দেন আমেরিকা তিনি ফেরত যাবেননা। বিয়ে না করলে তাঁকে সাপ্তাহিক ৩ হাজার ডলার করে দিয়ে যেতে হবে। সঙ্গে চাই পাকিস্তানি নাগরিকত্ব।
ওনিজাকে বোঝাতে পাকিস্তানে মার্কিন দূতাবাসের কর্মীরা আসেন। পাকিস্তানের প্রশাসনিক আধিকারিকরা আসেন। কিন্তু ওই যুবতীকে তাঁর সিদ্ধান্ত থেকে নড়ানো যায়নি।
অক্টোবর থেকে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত এমন চলার পর অবশেষে জানুয়ারির শেষে পৌঁছে তাঁকে আমেরিকা যাওয়ার বিমানে তুলে দেওয়ার জন্য বিমানবন্দরেও নিয়ে যাওয়া হয়।
কিন্তু সেখানেও ওনিজা এমন নাটকীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন যে বিমানই ছাড়তে ১ ঘণ্টা দেরি হয়ে যায়। এদিকে পাকিস্তানে থাকার সময়সীমা পার হয়ে গেছে। কিন্তু ওই যুবতী তাঁর সিদ্ধান্তে এখনও অনড়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা