একটি বাইকের পুজো হয় এখানে, প্রসাদে দেওয়া হয় মদ
একটি বাইককে যে ঈশ্বর রূপে পুজো করা যেতে পারে তা কেউ কখনও ভেবেছিলেন? সেটাই কিন্তু চলে আসছে দিনের পর দিন। পুজোর প্রসাদ শুনলে বিশ্বাস নাও হতে পারে।
কথিত এক কাহিনি আজও এখানে মুখে মুখে ঘোরে। সময়টা ১৯৮৮ সাল। শোনা যায় ওম সিং রাঠোর নামে এক ব্যক্তি একদিন বাড়ি ফিরছিলেন তাঁর বাইকে চেপে। সেই সময় একটি দুর্ঘটনা ঘটে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইক গিয়ে ধাক্কা মারে একটি গাছে। ঘটনাস্থলেই ওম সিং রাঠোর বা ওম বান্নার মৃত্যু হয়।
এখানে বলা ভাল, রাজপুত তরুণদের বান্না বলা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে দেহ তুলে নিয়ে যায়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাইকটিও তুলে নিয়ে যায়। কিন্তু পরদিন সকালে ঠিক ওখানেই বাইকটিকে ফের দেখা যায়। সকলেই অবাক।
পুলিশ কিছু বুঝতে না পেরে ফের বাইকটি তুলে নিয়ে যায় এবং বেঁধে রাখে। কিন্তু তার পরদিনও সেই এক কাণ্ড। বাইক পাওয়া যায় ঠিক দুর্ঘটনাস্থলেই। এরপর আর বাইক তুলে নিয়ে যায়নি পুলিশ।
বরং স্থানীয়রাই ওই বাইকটি সযত্নে ওই জায়গায় একটি কাচের ঘর তৈরি করে সেখানে রাখেন। কার্যত মন্দিরের মর্যাদা পায় সেই কাচের ঘর। আর বাইক পায় দেবতার সম্মান। কেউ এই মন্দিরকে ডাকেন বুলেট বাবার মন্দির হিসাবে, আবার কেউ ডাকেন ওম বান্না মন্দির বলে।
এ মন্দিরে অনেকে হাজির হয়ে ফুল দেন। প্রণাম করেন। আবার অনেকে প্রসাদ হিসাবে দিয়ে যান মদের বোতল। মনে করা হয় সেদিন ওম সিং রাঠোরের দুর্ঘটনার কারণ ছিল মদ্যপান করে বাইক চালানো।
এ মন্দির রয়েছে রাজস্থানের যোধপুরের কাছে পালি জেলার চোটিলা গ্রামের ধারে। বাইককেও যে দেবতা জ্ঞানে পুজো করা যেতে পারে তা এখানে না এলে বিশ্বাস করা কঠিন।