SciTech

এ গুহার মধ্যে থাকে রূপকথার হাজার তারায় ভরা রাত

গুহা সম্বন্ধে সকলেরই কমবেশি জ্ঞান আছে। গুহার মধ্যেটাও কেমন হতে পারে তাও জানা। কিন্তু তারায় ভরা রাতের গুহা অনেকেই হয়তো দেখেননি।

গুহাই ছিল আদিম কালে মানুষের একমাত্র মাথা গোঁজার স্থান। রোদ, জল, বৃষ্টি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে তারা গুহার আশ্রয়কে বেছে নিত। পরে তারা প্রয়োজনে গুহা বানিয়ে নিতেও শিখে যায়। ফলে ২ রকম গুহা দেখতে পাওয়া যায়।

এক প্রকৃতির দান, অন্যটা মানুষের তৈরি। তবে মানুষের তৈরি গুহার সংখ্যা নেহাতই নগণ্য। প্রকৃতি আবার যে অগুন্তি গুহা উপহার দিয়েছে তারমধ্যে বেশ কয়েকটি গুহা আজও মানুষকে অবাক করে। যেমন নিউজিল্যান্ডে একটি পাহাড়ের তলায় থাকা গুহায় দিনরাত লেপ্টে থাকে রূপকথার তারা ভরা রাত।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

নিউজিল্যান্ডের এই গুহায় প্রবেশ করলে ভিতরটা অন্ধকার। মাথার একটু উপরেই গুহার পাথুরে ছাদ। এখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন এই ছাদের টানে।

কালো অন্ধকার গুহার মাথায় এবড়োখেবড়ো পাথুরে অংশে নজর কাড়ে হাজার তারায় ভরা রাত। গুহার মাথার ওপরের কালো অন্ধকার অংশে তারার মত জ্বলতে থাকে উজ্জ্বল আলো।

ঠিক যেমন রাতের আকাশে তারারা ঝলমল করে। ওয়েটোমো গ্লো ওয়ার্ম গুহা তখন সকলের জন্য হয়ে ওঠে রূপকথার রাত।

অ্যারাকনোক্যাম্পা লুমিনোসা নামে এক ধরনের পোকার সংসার রয়েছে এই গুহায়। তাদের সংখ্যা গুনে ওঠা যায়না। এরা অনেকটা জোনাকির মত।

গুহার মধ্যে থাকা কার্বন ডাই অক্সাইড হল এদের এই দেহ জুড়ে জ্বলতে থাকা আলোর জ্বালানি। যে আলোর ঝলকানি মানুষরে চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। অবাক চোখে তাঁরা চেয়ে দেখেন প্রকৃতির এই আপার সৌন্দর্য।

Australia
অস্ট্রেলিয়ার ব্লু মাউন্টেন-এ গ্লো ওয়ার্ম গুহা, ছবি – সৌজন্যে – উইকিমিডিয়া কমনস

গুহার যতদূর পর্যন্ত নজর যায় শুধুই এমন উজ্জ্বল আলো ভরে থাকে। লক্ষ লক্ষ এমন পোকা সর্বক্ষণ এই রূপকথার পরিবেশকে বাঁচিয়ে রাখে।

তবে এখানে প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। গুহার কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণে ভারসাম্য বজায় রাখতে যথেষ্ট মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। একদিনে কতজন এই গুহায় প্রবেশ করতে পারবেন তা বাঁধা রয়েছে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *