SciTech

২৫০০ কিলোমিটার প্রান্তরে অসংখ্য গোল ফাঁক, কীভাবে তৈরি হল তা আজও রহস্য

দেখে মনে হবে কেউ যত্ন করে এভাবে মাটি খুঁড়ে গোল গোল করে ফাঁক করেছে। কীভাবে এই গোল তৈরি হয়েছে তা কিন্তু আজও এক রহস্য।

দূর পর্যন্ত তাকিয়েও এ মাটির শেষ নেই। চোখে তো আড়াই হাজার কিলোমিটার ধরা পড়তে পারেনা। অথচ এই আড়াই হাজার কিলোমিটার জুড়ে মাটিতে রয়েছে গোল গোল ফাঁক। অল্প করে কেউ যেন গর্ত কেটে দিয়েছে। তাও যেখানে সেখানে নয়। একদম দূরত্ব বজায় রেখে গোল কাটা।

সব গোলই প্রায় একরকম চেহারা ও মাপের। এ এমন এক প্রাকৃতিক আশ্চর্য যে রহস্যের আজও কিনারা হয়নি। এভাবে গোলগুলি এল কোথা থেকে তা নিয়ে নানা মুনির নানা মত। অনেকেই বিভিন্ন তত্ত্ব তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন ঠিকই। কিন্তু নিশ্চিত করে সেটাই ঠিক, বলার অবস্থা তৈরি হয়নি।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

নামিবিয়ার নামিব মরুভূমির এক ধারে আড়াই হাজার কিলোমিটার জুড়ে পড়ে আছে ফাঁকা প্রান্তর। আর সে প্রান্তর জুড়ে গুনে শেষ করা যায়না এমন গোল। যা দেখতে বহু মানুষ ছুটে আসেন এখানে।

একে বলা হয় রূপকথার বৃত্ত বা ফেয়ারি সার্কেলস। সংখ্যায় সে গোল কোটি কোটি। কীভাবে হল এই গাছহীন প্রান্তর জুড়ে এত গোল? কীভাবে এত সযত্নে তৈরি হল এগুলি? উত্তর আজও কারও জানা নেই।

তবে অনেকের মতে, কোনও বিষাক্ত নিঃসরণের জেরে এভাবে গোলাকার আকৃতিতে এখানে সবুজ শেষ হয়ে যায়। আবার কারও মনে হয় বালিতে থাকা পোকাদের কাণ্ড এটা। তারা এই শুকনো প্রান্তরে বৃষ্টির জল ধরে রাখার জন্য নির্দিষ্ট দূরত্বে এভাবে গোল কাটতে থাকে।

এমন আরও নানা তত্ত্ব সামনে এসেছে এই ফেয়ারি সার্কেলস সৃষ্টি নিয়ে। তবে কোনও কিছুই ১০০ শতাংশ নিশ্চিত নয়। তবে এই অসংখ্য গোল প্রান্তর জুড়ে এক অপরূপ দৃশ্যের জন্ম দিয়েছে। কেবল এই গোল কাটা প্রান্তর দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ হাজির হন নামিবিয়ার এই অংশে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *