Mythology

রাধা নন, ৫০০ বছরের পুরনো এই মন্দিরে শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে রয়েছেন কুব্জা

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নানা কাহিনি মানুষের মুখে মুখে ঘোরে। বিভিন্ন সময়ে ছদ্মবেশে তিনি নানা মানুষের উপকার করেছেন। এ পৃথিবীতে তাঁর লীলার কোনও শেষ নেই।

উত্তরপ্রদেশের মথুরায় শ্রীকৃষ্ণের একটি মন্দির রয়েছে। মন্দিরটি বয়সে অত্যন্ত প্রাচীন। এক বিশেষ কারণে মন্দিরটি খুবই বিখ্যাত। ভক্তদের উপর মন্দিরটির শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে। বিগত ৫০০ বছর ধরেই মন্দিরটি ভক্তদের কাছে শ্রীকৃষ্ণের লীলাভূমি হিসাবে পরিচিত।

এই মন্দিরটি ভক্তদের ওপর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের করুণার একেবারে জলজ্যান্ত উদাহরণ। কথিত আছে, এই মন্দিরে এসে ভক্তিভরে পুজো করলেই মানুষের চর্মরোগ সেরে যায়। তাই আজও গভীর বিশ্বাসে ভক্তরা এখানে নিজেদের রোগ নিরাময়ে আসেন।

এই মন্দিরটি বাকি সব কৃষ্ণ মন্দির থেকে একেবারেই আলাদা। কারণ এখানে শ্রীকৃষ্ণের পাশে শ্রীরাধিকার বদলে রয়েছেন কুব্জা। শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে কুব্জাও এই মন্দিরে ভক্তদের কাছে পুজো পান। কিন্তু কে এই কুব্জা?

জনশ্রুতি, মথুরার এই জায়গায় কংসের দাসী কুব্জা থাকতেন। তিনি নিজে হাতে চন্দন বেটে কংসের দরবারে পাঠাতেন। কুব্জা দেখতে অত্যন্ত কুৎসিত ছিলেন। কুঁজো হওয়ার জন্যে তাঁর চলাফেরায় খুবই কষ্ট হত।

কংস এবং শ্রীকৃষ্ণের মধ্যে মল্লযুদ্ধের কথা ওঠায় কৃষ্ণ মথুরায় আসেন। কুব্জা তখন কৃষ্ণকেও চন্দন বেটে পাঠিয়েছিলেন। কুব্জার সম্পর্কে জানতে পেরে শ্রীকৃষ্ণ তখন তাঁর সাথে দেখা করেন। তাঁর পিঠে নিজের হাত রেখে শ্রীকৃষ্ণ কুব্জাকে উপরে টেনে তোলেন।

শ্রীকৃষ্ণের হাতের ছোঁয়ায় কুব্জার সব রোগ সেরে যায়। তিনি এক সুন্দরী নারীতে পরিণত হন। ভক্তরা শুধুমাত্র রোগ সারাতেই নয়, শ্রীকৃষ্ণের প্রতি কুব্জার আন্তরিক শ্রদ্ধাকে প্রত্যক্ষ করতেও আসেন এই মন্দিরে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *