Kolkata

রাজ্যে একদিনে করোনায় মৃত ৫৬

রাজ্যে ৪ হাজারের কাছে ঘুরছে সংক্রমণ। মৃত্যুও ঘুরছে ৫০-এর ঘরে। তবে আশা জাগিয়ে সামান্য করে হলেও রাজ্যে বাড়ছে সুস্থতার হার।

কলকাতা : দেশে সার্বিকভাবে অক্টোবরে সংক্রমণ ও মৃত্যু কমেছে। কিন্তু অক্টোবরে এ রাজ্যের ছবিটা ঠিক উল্টো এসেছে। সংক্রমণ তার উর্ধ্বমুখী প্রবণতাই ধরে রেখেছিল। দৈনিক মৃত্যুও প্রায় একই জায়গায় ঘোরাফেরা করেছে। কখনও এক-দুজন বেশি তো কখনও এক-দুজন কম। নভেম্বরেও ছবিটা প্রায় একই। ৪ হাজারের ওপর চলে যাওয়া সংক্রমণ এখন খাতায় কলমে ৪ হাজারের নিচে হলেও তা ৪ হাজারের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে।

গত একদিনে ৩ হাজার ৯০৭ জন নতুন রোগী পাওয়া গিয়েছে। আগের দিনও প্রায় একই অবস্থায় ছিল সংক্রমিতের সংখ্যা। উৎসবের মরসুমে সংক্রমণের একটা উর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। গত একদিনে নমুনা পরীক্ষা কমেছে। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৪ হাজার ৩৫৬টি। রাজ্যে মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৯ হাজার ২২১ জনে। যার মধ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ২১ জনে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

রাজ্যে করোনায় মৃত্যু প্রতিদিনই বাড়ছে। গত একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫৬ জনের। আগের দিনের চেয়ে ৩ জন কম। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩৫০ জন।

গত একদিনে যে ৫৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ জন। মৃত্যুর নিরিখে এদিন কলকাতাকে টপকে গেছে উত্তর ২৪ পরগনা। উত্তর ২৪ পরগনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন।

কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা বাদ দিলে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ও মুর্শিদাবাদে ৩ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়।

২ জন করে মানুষের মৃত্যু হয়েছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, নদিয়া এবং হাওড়ায়। এছাড়া কোচবিহার, বীরভূম ও পুরুলিয়ায় ১ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়।

রাজ্যে একই সঙ্গে বহু রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত একদিনেও ৪ হাজারের ওপর মানুষ করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ৪ হাজার ৩৯৬ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন এদিন।

রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৬৭ হাজার ৮৫০ জন। এদিন এত মানুষ সুস্থ হয়ে ওঠায় রাজ্যে সুস্থতার হার আরও বেড়েছে। সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৮৯.৮৯ শতাংশ। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *