Kolkata

রাজ্যে মৃত্যু, সংক্রমণ, সুস্থতা আগের দিনের সঙ্গে প্রায় এক

রাজ্যে আগের দিনের সঙ্গে গত একদিনের ছবিতে বদল তেমন কিছুই নেই। সব সংখ্যাই প্রায় একই জায়গায় রইল।

কলকাতা : রাজ্যে করোনা রোগীর সংখ্যা কিন্তু প্রতিদিনই বাড়ছে। গত একদিনেও সেই ৩ হাজারের উপরই মিলল সংক্রমিতের হদিশ। রাজ্যে ৩ হাজার ১৮৯ জন নতুন রোগী পাওয়া গিয়েছে।

গত একদিনে নমুনা পরীক্ষা আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৫ হাজার ২২৯টি। রাজ্যে অবশ্য নমুনা পরীক্ষা কম বা বেশির সঙ্গে দৈনিক নতুন পাওয়া সংক্রমণের সংখ্যার কোনও ফারাক হচ্ছেনা। সংখ্যাটা দাঁড়িয়ে থাকছে প্রায় একই জায়গায়।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

রাজ্যে এখন মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬৭৩ জন। যার মধ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ১০১ জন।

রাজ্যে করোনায় মৃত্যু প্রতিদিনই বাড়ছে। গত একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৬১ জনের। আগের দিনের চেয়ে ১ জন কম। রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫৪৪ জন।

গত একদিনে যে ৬১ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় মারা গেছেন ১১ জন।

কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা বাদ দিলে হাওড়ায় ৯ জন, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৫ জন, আলিপুরদুয়ারে ৪ জন, জলপাইগুড়িতে ৪ জন ও হুগলিতে ৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

কালিম্পং, বাঁকুড়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়। দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর, মালদা, বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমানে ১ জন করে মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা।

রাজ্যে একই সঙ্গে বহু রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। একটা বড় সময় ৩ হাজারের ওপর প্রতিদিন সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরার নজির থাকলেও মাঝে ৩ হাজারের ঘর থেকে সামান্য নিচে চলে গিয়েছিল সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরা করোনা জয়ীর সংখ্যা।

গত ২ দিনে তা ফের ৩ হাজারের ঘরে ফেরার পর আবার তা এদিন ২ হাজারি ঘরে নেমে গেল। তবে তা ৩ হাজারে একদম দরজায় রয়েছে।

গত একদিনে ২ হাজার ৯৯৮ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। ফলে রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ৫ হাজার ২৮ জন। যার হাত ধরে রাজ্যে সুস্থতার হার এদিন আরও সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৭.৩৭ শতাংশ। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *