Kolkata

রাজ্যে সুস্থতার হার পৌঁছল ৮৩ শতাংশে, প্রতিদিনই কমছে অ্যাকটিভ রোগী

ফের রাজ্যে একদিনে সংক্রমণ ৩ হাজারের নিচে নামল। সুস্থতা বেড়ে ৮৩ শতাংশ পার করে গেল। প্রতিদিনই কমছে অ্যাকটিভ রোগী।

কলকাতা : রাজ্যে করোনা রোগীর সংখ্যা কিন্তু প্রতিদিনই বাড়ছে। গত ২ দিনে অবশ্য ৩ হাজারের নিচে নেমেছে সংক্রমিতের সংখ্যা। তবে তা ৩ হাজারের দরজাতেই ঘোরাফেরা করছে। গত একদিনে রাজ্যে নতুন রোগী পাওয়া গিয়েছে ২ হাজার ৯৪৩ জন। গত একদিনে রাজ্যে নমুনা পরীক্ষা অবশ্য ফের বেড়েছে। ৪৩ হাজার ৭৩৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। রাজ্যে এখনও এত নমুনা পরীক্ষা একদিনে হয়নি।

রাজ্যে এখন মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৭২১ জন। যার মধ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৮২২ জন। আগের দিন অ্যাকটিভ রোগী ছিলেন ২৫ হাজার ২৮০ জন। অর্থাৎ কমেছে অ্যাকটিভ রোগী। নতুন ধরা পড়া রোগীর চেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় রাজ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমেছে। আর এই প্রবণতা টানা বজায় রয়েছে।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

রাজ্যে করোনায় মৃত্যু প্রতিদিনই বাড়ছে। গত একদিনে রাজ্যে ৫৫ জন করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। আগের দিনের তুলনায় ৩ জন বেশি। রাজ্যে এখন করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২৮৩ জন। গত একদিনে যে ৫৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় মারা গেছেন ১২ জন।

কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা বাদ দিলে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৭ জন, হাওড়ায় ৫ জন, হুগলিতে ৩ জন ও বাঁকুড়ায় ৩ জন মারা গেছেন। আলিপুরদুয়ার, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমানে ২ জন করে মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা। কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ও বীরভূম‌ে ১ জন করে মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা।

রাজ্যে একই সঙ্গে বহু রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত ১২ দিনই ৩ হাজার পার করছে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা। গত একদিনে ৩ হাজার ৩৪৬ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। রাজ্যে এখন করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৬১৬ জন। যার হাত ধরে রাজ্যে সুস্থতার হার ৮৩ শতাংশ পার করল। রাজ্যে এদিন সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৮৩.০৪ শতাংশ। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *