Kolkata

ফের ৩ হাজারে ফিরল সংক্রমণ, ৮২ শতাংশের দরজায় সুস্থতা

ফের রাজ্যে একদিনে সংক্রমণ ৩ হাজারের গণ্ডি পার করে গেল। সুস্থতা বেড়ে ৮২ শতাংশের দরজায় পৌঁছে গেল।

কলকাতা : রাজ্যে করোনা রোগীর সংখ্যা কিন্তু প্রতিদিনই বাড়ছে। আগের দিনের পর গত একদিনে ফের ৩ হাজার পার করল সংক্রমিতের সংখ্যা। গত একদিনে রাজ্যে নতুন রোগী পাওয়া গিয়েছে ৩ হাজার ১৯ জন। গত একদিনে রাজ্যে ৪৩ হাজার ৪৩৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। যা এখনও পর্যন্ত রেকর্ড। একদিনে এত বেশি নমুনা পরীক্ষা এ রাজ্যে আগে হয়নি।

রাজ্যে এখন মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৭৮৫ জন। যার মধ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ৬৫৭ জন। আগের দিন ছিল ২৫ হাজার ৯৯৬ জন। অর্থাৎ কমেছে অ্যাকটিভ রোগী। নতুন ধরা পড়া রোগীর চেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় রাজ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমছে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

রাজ্যে করোনায় মৃত্যুও প্রতিদিনই বাড়ছে। গত একদিনে রাজ্যে ৫০ জন করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। আগের দিনের তুলনায় ৩ জন কম। রাজ্যে এখন করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ১৭৬ জন। গত একদিনে যে ৫০ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় মারা গেছেন ৭ জন।

কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা বাদ দিলে বাঁকুড়ায় ৫ জন, পূর্ব মেদিনীপুরে ৪ জন, পশ্চিম বর্ধমানে ৩ জন ও হাওড়ায় ৩ জন মারা গেছেন। ২ জন করে মানুষের মৃত্যু হয়েছে হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। কোচবিহার, দার্জিলিং, দক্ষিণ দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ১ জন করে মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা। মৃত্যুর নিরিখে নজর কাড়ছে বাঁকুড়া। ১ সপ্তাহ আগেও যেখানে ১ জনও রোগীর মৃত্যু হয়নি, সেখানে ইতিমধ্যেই বাঁকুড়ায় করোনায় মৃত্যু পৌঁছে গেছে ১৬ জনে।

রাজ্যে একই সঙ্গে বহু রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত ১০ দিনই ৩ হাজার পার করেছে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা। গত একদিনে ৩ হাজার ৩০৮ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। রাজ্যে এখন করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৯৫২ জন। যার হাত ধরে রাজ্যে সুস্থতার হার ৮২ শতাংশের দরজায় পৌঁছে গেছে। রাজ্যে এদিন সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৮১.৯৬ শতাংশ। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *