এ শহরের সব বাড়ির ছাদ নীল আর দেওয়াল সাদা, এই রং রহস্যের কারণ কি
একটা ছবির চেয়েও সুন্দর শহর। যেখানে পৌঁছলে মনে হয় স্বপ্ন দেখছেন। সেখানে সব বাড়ির রং সাদা আর ছাদ, জানালা দরজা গাঢ় নীল।

এ শহর সমুদ্রের ধারে অবস্থিত। নীল আকাশের নিচে নীল সমুদ্র। ঝলমলে রোদে যার রূপ স্বপ্নের মত সুন্দর। এই দ্বীপটি কিন্তু পর্যটকদের কাছেও অত্যন্ত প্রিয়। প্রিয় সদ্য বিবাহিতদের হানিমুনের জন্যও।
এমন স্বপ্নের মত সুন্দর জায়গা সকলকেই আকর্ষিত করে। এই দ্বীপ শহরটির একটি বিশেষত্ব সকলের নজর কাড়ে। সেটা হল এর নীল সাদা রং। এখানে সব বাড়ির রং ধবধবে সাদা। আর তার সঙ্গে বাড়ির ছাদ, জানালা আর দরজার রং গাঢ় নীল।
শহরের বাড়িঘর থেকে গির্জা, সবের রং এক। এটা কি কেবলই সুন্দর দেখানোর জন্য? নাকি এর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে? উত্তরটা অবশ্যই কারণ রয়েছে। আর একটা নয়, একাধিক কারণ রয়েছে।
গ্রিসের অন্যতম সুন্দর জায়গা বলা হয় সান্টোরিনি দ্বীপকে। এই দ্বীপের সব বাড়ির রং নীল আর সাদা। এর একটি কারণ হল এক সময় এখানে কাঠের অভাব। কাঠ না থাকায় আগ্নেয়শিলা কাজে লাগিয়ে বাড়িঘর তৈরি করা হয়েছিল। যার রং কালো।
সান্টোরিনি যেহেতু খুব গরম জায়গা, গ্রীষ্মে উত্তাপ চরমে ওঠে। তাই কালো রংয়ের পাথরে তৈরি বাড়ি আরও গরম বাড়িয়ে দিত। তাই বাড়িগুলিকে সাদা রংয়ের করে দেওয়া হয়। যাতে উত্তাপটা শোষণ করতে না পারে।
আর বাড়ির ছাদ, জানালা বা দরজা নীল কেন? এর কারণ নীল রং এখানে অনেক সহজে পাওয়া যায়। দামও কম পড়ে। একটি পরিস্কার করার বস্তু নীল হত। যা দিয়ে এই নীল রং করা হত। যা বাড়ির ছাদ রং করতে কাজে লাগত।
এই নীল আবার পোকামাকড় থেকেও বাড়িকে রক্ষা করত। কারণ যে উপাদান দিয়ে এই নীল রং তৈরি হত সেগুলি পোকাদের দূরে রাখত। আবার গ্রিক সংস্কৃতিতে নীল হল স্বর্গের রং। তাই একে পবিত্রও ধরা হয়।
সে কারণেও এখানকার বাসিন্দারা বাড়ির ছাদ নীল করতে পছন্দ করতেন। এছাড়া মনে করা হয় গ্রিসের জাতীয় পতাকার রং। গ্রিসের জাতীয় পতাকার রং নীল আর সাদা। সেটাই এখানকার প্রতিটি বাড়িতে নজরে পড়ে।