গণেশ পুজোর একটা লাড্ডু বিক্রি হল সাড়ে ২৪ লক্ষ টাকায়
১০ দিন ব্যাপী গণেশ পুজোর শেষ হল শুক্রবার। শুক্রবার ছিল ভাসান। সেখানেই একটি পুজোর একটি লাড্ডু বিক্রি হল সাড়ে ২৪ লক্ষ টাকায়।
গণেশের প্রিয় খাবার মোদক বা লাড্ডু। তাই গণেশ পুজোয় মোদক বা লাড্ডু আবশ্যিক প্রসাদ। বিভিন্ন জায়গায় বারোয়ারি গণেশ পুজো খুব ধুমধাম করে হয়। তেমনই একটি পুজোয় প্রতিবছর ভাসানের দিন একটি নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিসর্জন পর্ব শুরুর আগে গণেশকে দেওয়া একটি লাড্ডু নিলাম হয়।
লাড্ডুটি সাধারণ লাড্ডুর চেয়ে অনেকটাই বড় হয়। এ বছর সেই লাড্ডুটি হয়েছিল ২১ কেজি ওজনের। গণেশের প্রসাদ সেই লাড্ডু কে বাড়ি নিয়ে যাবেন তার জন্য শুরু হয় নিলাম।
দাম চড়তে থাকে। এবার সেই দাম থামল ২৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকায়। যা কিনে নিলেন পেশায় ব্যবসায়ী তথা ওই পুজোর এক কর্মকর্তা।
মহারাষ্ট্র বা কর্ণাটকের মত তেলেঙ্গানাতেও ধুমধাম করে গণেশ পুজো হয়। হায়দরাবাদে একাধিক গণেশ পুজো অনুষ্ঠিত হয়। তার একটি বালাপুরের বারোয়ারি পুজো।
বালাপুরের গণেশ বিসর্জনের আগে গণেশ বিগ্রহকে প্রসাদ হিসাবে দেওয়া একটি লাড্ডু নিলামের রীতি চালু হয় ১৯৯৪ সালে। সেই বছর প্রথম নিলামে লাড্ডু বিক্রি হয় ৪৫০ টাকায়। তারপর থেকে নিলামে দাম চড়েছে।
২০২০ সালে বন্ধ থাকলেও গত বছর বালাপুরের গণেশের লাড্ডু নিলামে বিক্রি হয় সাড়ে ১৮ লক্ষ টাকায়। এবার তা আরও বেড়ে থামল ২৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকায়।
প্রসঙ্গত বালাপুরের গণেশ বিসর্জন দেখার মত হয়। বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে বিসর্জন হয় হুসেন সাগর লেকে। বিসর্জনে অংশ নেন বহু মানুষ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা